খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ | ৩০ আশ্বিন ১৪৩২

পাটকল ও শিল্পাঞ্চল পুনরুদ্ধার পর্ষদের আত্মপ্রকাশ, ৭ দফা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:৪৬ এ.এম | ১৬ অক্টোবর ২০২৫


পাটকল ও শিল্পাঞ্চল পুনরুদ্ধার পর্ষদের আত্মপ্রকাশ ও ৭দফা দাবিতে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব নকরেন পর্ষদের আহবায়ক মোঃ জাকির হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সদস্য সচিব সামস সারফিন সামন। 
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ফ্যাসিস্ট হাসিনা করোনা মহামারীর ঘোর অকালে এক বেআইনী প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২৬টি সরকারি পাটকল বন্ধ করে দিয়েছে। ছাত্রজনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট হাসিনা উৎখাত হয়ে ভারতে পলায়ন করলেও ভারতকে তুষ্ট করতে হাসিনার জারীকৃত প্রজ্ঞাপনে বন্ধ হওয়া পাটকলগুলিতে এখনোও ঝুলছে তালা। ২৮৪ জন শ্রমিকের রক্তে লেখা অভ্যুত্থানের পর যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে-সেই সরকার এবং জুলাই অভ্যুত্থানের সকল অংশীজনের কেউই শেষ পর্যন্ত শ্রমিকদের কথা মনে রাখেনি। শেখ হাসিনার পুলিশ এবং অপরাপর সশস্ত্র বাহিনীর গুলিতে নিহত শ্রমিক, ছাত্র এবং জনতার গুলিবিদ্ধ শরীর বয়ে হাসপাতালে নেয়া থেকে শুরু করে সমগ্র অভ্যুত্থানে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখার পরেও শ্রমিকদের নিয়ে ন্যূনতম মাথাব্যাথা একটি রাষ্ট্রের না থাকার অর্থ তারা জুলাইয়ের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এই বিশ্বাসঘাতকতারই ধারাবাহিকতায় অভ্যুত্থানের সরকার আজও হাসিনার ফেলে যাওয়া অবৈধ প্রজ্ঞাপনের বলে কারখানাগুলি বন্ধ রেখেছে। এমনকি একজন নবনিযুক্ত উপদেষ্টা পাটকল চালুর প্রতিশ্র“তি দিলে অজ্ঞাত কারণে তাকে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পাটকল শ্রমিকদের সাথে এমন নিষ্ঠুর প্রতারণা ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে : অবিলম্বে ফ্যাসিস্ট হাসিনার প্রজ্ঞাপন ও লিজপ্রথা বাতিলসহ রাষ্ট্রায়ত্ত সকল পাটকল চালু, প্রহসনমূলক টেন্ডারের নামে পাটকলের মূল্যবান যন্ত্রাংশ পাচার ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের পায়তারা বন্ধ, অবিলম্বে পাট ব্যবসায়ী পাট উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন, বিজেএমসির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কবির উদ্দিন সিকদার ও পাট সচিব আব্দুর রউফকে অপসারণ করে বিচার, খালিশপুর, দৌলতপুর, জাতীয়, কেএফডি, আরআর জুটমিলসহ ২৬টি পাটকল বন্ধের পর থেকে আজ পর্যন্ত সকল পাওনা, বকেয়া বেতন ও ভাতাদি অবিলম্বে প্রদান, পূর্বের পাটকল রক্ষা আন্দোলনের প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাও এবং নেতাদের নামে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার। ৬. সকল বেসরকারি পাটকল শ্রমিকের ন্যূনতম হাজিরা ৫৬০ টাকা প্রদান এবং পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০ অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলন জেলা আহবায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, সোশাল ডেমোক্রাটিক পার্টি (এসডিপি) সংগঠক মাকিন সরকার, মাইনুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশেনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন শেখ, যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ আলমগীর হোসেন, শ্রমিকনেতা মোঃ নূরুল ইসলাম  আব্দুর রাজ্জাক জসিম গাজী  মোঃ সামসুল হক  সিরাজুল ইসলাম  খাদিজা বেগম রোজিনা বেগম  মোঃ রাসেল হোসাইন, আমজাদ হোসেন, তামিম, আসিফ, সাদ্দাম ও আলাউদ্দীন।

্রিন্ট

আরও সংবদ