খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ | ১ কার্তিক ১৪৩২

এখন ১০% নয়, পরের বাজেটে বাড়ানো যেতে পারে : শিক্ষা উপদেষ্টা আবরার

খবর প্রতিবেদন |
০৪:৩৭ পি.এম | ১৬ অক্টোবর ২০২৫


অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার বলেছেন, শিক্ষক নেতারা যদি তাদের দাবি ও হিসাব-নিকাশ সময়মতো মন্ত্রণালয়ে দিতেন, তাহলে বাজেট ঘোষণার আগেই অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে যৌক্তিক প্রস্তাব পাঠানো যেত। ফলে এবারই বেশি বরাদ্দ পাওয়া সম্ভব হতো।

তিনি বলেন, ‘এখন ১০ শতাংশ নয়, পরের বাজেটে বাড়ানো যেতে পারে।’

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক আবরার বলেন, তারা যদি প্রাথমিক হিসাবটা আমাদের হাতে আগেভাগে দিতেন, তাহলে বাজেটের আগে আমরা ফাইনান্স মন্ত্রণালয়ে সেটা পাঠাতে পারতাম। যৌক্তিকতা তো অনস্বীকার্য। কাজেই হয়তো এখন আমরা যা পাচ্ছি তার চেয়ে বেশি পাওয়া যেত। কিন্তু এখন যেখানে অর্থের সংস্থান নেই, সেখানে এর বেশি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, এটা আমরা তাদের জানিয়েছি।

তিনি বলেন, আমি বাড়তি আরেকটা কথা বলেছি- সামনের বছরের বাজেটে যেন কিছু শতাংশ বৃদ্ধি করা যায়, আমরা ফাইনান্সকে বলবো সে ব্যাপারে। এখন পারছেন না, ঠিক আছে; তবে সামনের বছরের জন্য যেন তারা কমিট করেন। আমরা এই দাবির যৌক্তিকতা স্বীকার করছি, কিন্তু তাদেরও ধৈর্য ধরতে হবে।

শিক্ষা উপদেষ্টা জানান, শিক্ষক নেতারা সরকারের এই প্রস্তাবে রাজি হননি। তারা বলেছেন, এখনই ১০ শতাংশ দিতে হবে এবং সামনের বছর আরও ১০ শতাংশ দিতে হবে। কিন্তু এটা আমাদের এখতিয়ারের বাইরে, আমরা তাতে রাজি হইনি।

তিনি বলেন, আমরা বারবার বলেছি, আপনারা যে দাবির সারাংশ তুলেছেন, তাতে আমাদের আপত্তি নেই। সংস্থান থাকলে আমরা এখনই দিতাম। কিন্তু বাস্তবতায় যেখানে অর্থের অভাব আছে, সেখানে সীমাবদ্ধতা আছে। তাই অনুরোধ করেছি, আপনারা আন্দোলনের পথে না গিয়ে বিষয়টি বিবেচনা করুন। সামনে পরীক্ষা রয়েছে, শিক্ষার্থীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

পে-কমিশনের প্রসঙ্গ টেনে অধ্যাপক আবরার বলেন, সরকার ইতোমধ্যে নতুন পে কমিশন গঠন করেছে, যা আগামী জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেদন দিতে পারে। পে কমিশনের রিপোর্টে ৫০, ৭০ এমনকি ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধি হতে পারে- এমন ইঙ্গিত আমরা পাচ্ছি। তখন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়বে।

তিনি ব্যাখ্যা দেন, আমরা এখন থোক বরাদ্দ থেকে শতকরা হারে ভাতা নির্ধারণে যাচ্ছি- এটা বড় ধরনের অগ্রগতি। কারণ ভবিষ্যতে বেসিক বেতন বাড়লে সেই অনুপাতে বাড়ি ভাড়াও বাড়বে। কিন্তু যদি তারা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন, তাহলে ভবিষ্যৎ সরকার চাইলে থোক বরাদ্দ পদ্ধতিতেই থেকে যেতে পারে, যা তাদের জন্য ততটা লাভজনক হবে না।

আবরার বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় শুরু থেকেই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। আমরা শুরু থেকেই ফাইনান্সের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি, প্রয়োজনীয় হিসাব-নিকাশ ও তথ্য আদান-প্রদান করেছি। কাজটা অবহেলা করা হয়নি। কিন্তু সময় ও অর্থ দুটোই এখন সীমিত- এটা বাস্তবতা।

তিনি শিক্ষক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান, আপনারা এই সুযোগটা হারাবেন না। আমরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছি, এবং সামনের বাজেটে এর প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্টা করবো।

্রিন্ট

আরও সংবদ