খুলনা | শুক্রবার | ১৭ অক্টোবর ২০২৫ | ২ কার্তিক ১৪৩২

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ পেলেই সাংগঠনিক ব্যবস্থা

দল যাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেবে, তার পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : বকুল

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০২:০৫ এ.এম | ১৭ অক্টোবর ২০২৫


গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অভিযাত্রায় ও ভোটের মাঠে মহানগর বিএনপি’র নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহŸবান জানিয়েছেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল। তিনি বলেন, “আমাদের মধ্যে নানা ইস্যুতে মতভেদ থাকতে পারে, কিন্তু দলীয় ঐক্যই হলো আমাদের শক্তির মূল উৎস। মতের ভিন্নতা থাকলে তা আলোচনার মাধ্যমে নিরসন করতে হবে। বিএনপি গণমানুষের দল-এ দল কখনোই ব্যক্তি স্বার্থের কাছে পরাজিত হবে না। ধানের শীষ প্রতীক শুধু একটি রাজনৈতিক চিহ্ন নয়, এটি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের প্রতীক। দলের যেকোনো সিদ্ধান্ত আমাদের সবার জন্য বাধ্যতামূলক। দলের মনোনয়ন নিয়ে বিভাজন সৃষ্টি করা যাবে না। দল যাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেবে, তার পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিশেষ সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহানগর বিএনপি’র সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভা চলে রাত সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
তিনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, “কোনো ভাইয়ের নামে স্লোগান নয়-আমরা সবাই ধানের শীষের কর্মী। দলে ব্যক্তিপূজা নয়, নীতির ভিত্তিতে রাজনীতি করতে হবে। দল ও নেতৃত্বের সিদ্ধান্তই সর্বোচ্চ।” বিএনপি’র নীতিনির্ধারণী মহল নিবিড়ভাবে মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে। বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কোন নেতা বা কর্মীর বিরুদ্ধে কোনো প্রকার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ পেলেই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি সতর্ক করে দেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা নেতাদের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করেন, গুজব ছড়ান বা দলীয় ঐক্যে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। “দল ও নেতৃত্বকে সম্মান করতে না পারলে কেউ বিএনপি’র কর্মী হতে পারে না,” তিনি মন্তব্য করেন। এখন সময় মাঠে নামার। ভোটারদের ঘরে ঘরে যেতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সালাম পৌঁছে দিতে হবে। তাদের নেতৃত্বে আমরা গণতন্ত্রের পুনর্জাগরণে কাজ করছি। তিনি বলেন, নির্বাচনী মাঠে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের একযোগে কাজ করতে হবে। বিশেষ একটি গোষ্ঠি নির্বাচন বিলম্বিত করতে চায় বা ষড়যন্ত্র করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাঁধাগ্রস্ত করতে চায়, তাদের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। জনগণ এখন পরিবর্তন চায়, আর সেই পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিতে হবে বিএনপিকেই। বাংলাদেশের মানুষ পতিত সরকারের নির্যাতিত ও জুলুমের জবাব ভোটের মাধ্যমে দিতে চায়। দেশের জনগণ মনে করেন ভোটের মাধ্যমেই হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব। সেই গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি’র প্রতিটি কর্মীকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। বিভেদ নয়, ঐক্যই আমাদের বিজয়ের পথ। মহানগর বিএনপি’র নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আহŸান জানান “চলুন, আমরা সবাই মিলে দলের পতাকা উঁচু রাখি। ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটারদের আস্থা অর্জন করি। ধানের শীষের বিজয়ের মাধ্যমে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনাই হোক আমাদের লক্ষ্য।
সভায় বক্তৃতা করেন নগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী, মাসুদ পারভেজ বাবু ও চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক রেহানা ঈসা, সদর থানা বিএনপি’র সভাপতি কেএম হুমাযূন কবীর, সোনাডাঙ্গা থানার সভাপতি হাফিজুর রহমান মনি, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, খালিশপুর থানার সভাপতি এড. শেখ মোহাম্মাদ আলী বাবু, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, দৌলতপুর থানার সভাপতি মুর্শিদ কামাল, সাধারণ সম্পাদক শেখ ইমাম হোসেন, খানজাহান আলী থানার সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান মিজান, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিলটন, সাংবাদিক রকিবুল ইসলাম মতি, সাংবাদিক আতিয়ার পারভেজ, যুবদলের আব্দুল আজিজ সুমন, রবিউল ইসলাম রুবেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের মিরাজুর রহমান মিরাজ, মহিলা দলের সৈয়দা রেহানা ঈসা, এড. হালিমা আক্তার খানম, আজিজা খানম এলিজা, শ্রমিকদলের মজিবর রহমান, শফিকুল ইসলাম শফি, দ্বীন মোহাম্মাদ, আলমগীর হোসেন, কৃষকদলের আক্তারুজ্জামান সজিব তালুকদার, জাসাসের ইঞ্জি. নুর ইসলাম বাচ্চু, একেএম জলিল, ওলামা দলের মাওলানা আবু নাঈম, হাফেজ আল আমিন, ছাত্রদলের মাজহারুল ইসলাম রাসেল, সৈয়দ ইমরান, আরিফুর রহমান আরিফ, শাকিল আহমেদ, মাহিমুল হক মাহিম, শেখ ইউসুফ, সিয়াম, সিয়াম, বিপ্লব ও ফয়সাল প্রমূখ।

্রিন্ট

আরও সংবদ