খুলনা | শনিবার | ১৮ অক্টোবর ২০২৫ | ২ কার্তিক ১৪৩২

তেরখাদায় সরকারি আটা বিক্রির মামলায় আরও একজন গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক |
১১:২৬ পি.এম | ১৭ অক্টোবর ২০২৫


তেরখাদায় সরকার নির্ধারিত মূল্যের ওএমএসের আটা কালোবাজারে বিক্রির মামলায় আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এর আগে আটক আসামি হামিম বিল্লাহ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি (ধারা ১৬৪) দিয়ে জানান আটা বিক্রির এ অনিয়মে তার সঙ্গে কাটেঙ্গা গ্রামের মৃত আক্কাস মোল্লা পুত্র মাহফুজ মোল্লাও জড়িত ছিলেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে মাহফুজ মোল­াকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ।
তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, গ্রেফতার হামিম বিল­াহ আদালতে স্বীকার করেছেন সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রির জন্য বরাদ্দকৃত ওএমএসের আটা বস্তা পরিবর্তন করে বেশি দামে বিক্রির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সে জবানবন্দিতে মাহফুজ মোল­ার সংশ্লিষ্টতার কথাও উলে­খ করেন। পরে পুলিশের অভিযানে মাহফুজকে আটক করা হয়। মামলার তদন্ত চলছে এবং এতে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা যাচাই করা হচ্ছে।
এর আগে, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (চঃ দাঃ) পূরবী রানী বালা ও উপজেলা খাদ্য দপ্তরের নিরাপত্তা প্রহরী লিটন মোল­া, তেরখাদা থানা পুলিশ এবং নৌবাহিনীর টহল দলের সহায়তায় ১৪ অক্টোবর রাতে কাটেংগা বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন। ওই সময় সরকারি ওএমএসের আটা কালোবাজারে বিক্রির প্রস্তুতি নেওয়ার অভিযোগে হামিম বিল্লাকে হাতেনাতে আটক করা হয়। অভিযানের সময় তার গোডাউন থেকে চারটি প্লাস্টিকের বস্তায় মোট ২০০ কেজি আটা জব্দ করা হয়, যার বাজার মূল্য আট হাজার টাকা। এ সময় হামিম বিল্লাহর সহযোগী ও ওএমএস ডিলার মোঃ শফিক আহম্মদসহ আরও দুইজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পলাতক শফিক আহম্মদ ‘মেসার্স নাছিমা ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল’ নামের প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে তেরখাদায় ওএমএস ডিলার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। তিনি সরকারের নির্ধারিত মূল্যে আটা বিক্রির পরিবর্তে বস্তা পরিবর্তন করে কালোবাজারে অধিক দামে বিক্রির পরিকল্পনা করেন। ওএমএসের আটা বিক্রিতে অনিয়ম, বস্তা পরিবর্তন ও কালোবাজারে মজুতের অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সরকারি খাদ্য সহায়তা কার্যক্রমে দুর্নীতি ও কালোবাজারি রোধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ