খুলনা | শনিবার | ১৮ অক্টোবর ২০২৫ | ৩ কার্তিক ১৪৩২

একদিনের ব্যবধানে পাইকগাছায় আবারো নদীর চরে লাশ : জনমনে আতঙ্ক

পাইকগাছা প্রতিনিধি |
০১:২৭ এ.এম | ১৮ অক্টোবর ২০২৫


২৪ ঘন্টা যেতে না যেতেই আবারোও খুলনার পাইকগাছার শিবসা নদীর চরে পাওয়া গেল একজনের লাশ। ইকরাম হোসেন (৪৭) খুলনার বানরগাতির মৃত মোঃ দেলোয়ার হোসেনের মেঝ ছেলে। সে সোনাডাঙ্গা থানার মহাসীন উদ্দীন সড়কে বসবাস করত।  
স্থানীয় ও এলাকাবাসী সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে পাইকগাছার নৌপুলিশ উপজেলার সোলাদানা বাজারের সন্নিকটে শিবসা নদীর চর থেকে এক ব্যক্তির মরাদেহ উদ্ধার করে। গত দু’দিনে পর পর দু’টি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় ভীতির সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে নিহতের পরণে ছিল থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট ও গায়ে গেঞ্জি। সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও পুলিশ সূত্রে খবর পেয়ে দুপুরে নিহতের ভাই সহ স্বজনরা পাইকগাছা নৌপুলিশ ফাঁড়িতে পৌঁছে লাশের পরিচয় সনাক্ত করে। এ সময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়ে। নিহতের ছোট ভাই রুবেল হোসেন জানান, ১৪ অক্টোবর সকালে একটি মামলায় হাজিরা দিতে ভাইয়া কোর্টে পৌঁছে আমার কাছে ৫শ’ টাকা চাইলে বিকাশে টাকা দিয়ে দেই। এরপর বেলা দেড়টার দিকে মোবাইল কথা হলে ভাইয়া জানায়, আমি পাইকগাছায় ঘেরের দিকে যাচ্ছি কাজ আছে। সর্বশেষ সন্ধ্যায় ভাইয়া বলেন, আমি ঘেরে আছি কোন সমস্যা নেই। সকালে বাসায় ফিরবো। এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। 
স্বজনরা পুলিশকে জানান, ১৬ অক্টোবর সকালে দেলুটির জিরবুনিয়া স্লুইস গেটের মুখে নদীর চর থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধারকৃত সোনাডাঙ্গার রানা খলিফা ও একরাম হোসেনসহ খুলনার আরোও ৪/৫ জন এক সঙ্গে ছিল। তারা অনেকেই এখন ফোন ধরছে না। গা ঢাকা দিয়েছে। তবে, পুলিশ তদন্তের স্বার্থে এসব নাম ঠিকানা প্রকাশ করেননি। 
এ বিষয়ে নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সবুর হোসেন জানান, লাশের পরিচয় সনাক্তের পর সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য খুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 
থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রিয়াদ মাহমুদ জানান, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর একটি মামলা হয়েছে। রানা খলিফা ও ইকরাম হোসেন হত্যাকান্ডের শিকার কিনা জানতে চাইলে তিনি আরোও বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কোন মন্তব্য করা ঠিক হবে না। 

্রিন্ট

আরও সংবদ