জেলা বিএনপি’র আহবায়ক মোঃ মনিরুজ্জামান মন্টু বলেছেন, গত ১৭ বছর বিএনপি’র সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের সীমাহীন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। হামলা-মামলা, খুন-গুম, পুলিশী হয়রানীতে ঘর-বাড়ি ছেড়ে আত্মীয়-স্বজন থেকে আত্মগোপনে থাকতেও হয়েছে বছরের পর বছর। তবুও কেউ জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের গণতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে দূরে সরে যায়নি। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহবায়ক আবু তাহের হীরা তেমনি একজন সাচ্চা দেশপ্রেমিক; আমৃত্যু জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের লড়াইয়ে সম্পৃক্ত ছিলেন। তার মতো রাজনৈতিক সহযোদ্ধার শূন্যস্থান কখনোই পূরণ হবার নয়। তবে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেই হীরার মতো হাজার হাজার নেতা-কর্মীর বিদেহী আত্মায় শান্তি পাবে। তাদের আজীবন লড়াইয়ের স্বার্থকতার জন্যেই ঐক্যবদ্ধভাবে ‘ধানের শীষ’র প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহবায়ক আবু তাহের হীরার আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া পূর্ব স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান মন্টু আরও বলেন, আগামী ফেব্র“য়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই প্রকৃত গণতান্ত্রিক সরকার। যাকে ভোট দেবেন, কাজ না করলে তার জবাবদিহি চাইতে পারবেন। কিন্তু যাদের ভোটে ক্ষমতায় আসেনি, তাদের কাছে জবাবদিহি নেই। একটি চক্র ষড়যন্ত্র শুরু করেছে যাতে নির্বাচন না হয়, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হয়। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। মানুষের দ্বারে দ্বারে যেয়ে বোঝাতে হবে, তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচির মধ্যে সাধারণ মানুষের জন্য বাস্তব পদক্ষেপ রাখা হয়েছে। ব্যক্তির প্রচার-প্রচারণা নয়; বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সালাম পৌঁছে দিয়ে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রচার করতে হবে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আতাউর রহমান রনুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক এড. মোমরেজুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক তৈয়েবুর রহমান।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আব্দুল মান্নান মিস্ত্রীর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক গোলাম মোস্তফা তুহিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহবায়ক আনোয়ার হোসেন আনো, মোঃ আবুল কাশেম, হুমায়ুন কবির রুবেল, মোঃ রফিকুল ইসলাম, এমডি আনিসুর রহমান, লিটন মোল্লা, মাহাবুর রহমান নান্টু, পিন্টু জোমাদ্দার, মোঃ রুবেল,  মেহেদী হাসান বাবু, হাফিজুর রহমান, কামাল ব্যাপারী, সালমা হায়দার সেলিম, মোল্লা জাহিদুর রহমান, কামরুল ইসলাম ভুট্টো, আরমান হোসেন শিকদার, নয়ন মোড়ল, আলী পাকবাজ জুয়েল, মোঃ মাসুদ হোসেন, অমল মন্ডল, মাহিনুর রহমান, আবু তাহের মাতব্বর, মোঃ রয়েল, মোঃ শামিম সরদার, জিএম হারুন অর রশীদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবুল কাদের জনি, ব্রজেন ঢালী, আবু তাহের, শাহাবুদ্দিন, যগেশ্বর সানা কার্তিক, নিয়াম মল্লিক, আজাদ, সাঈদ ও হাবিব প্রমুখ। 
প্রসঙ্গত্ব, কয়রায় যুব সমাবেশে যাওয়ার পথে গত ১৫ অক্টোবর দুপুরে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহবায়ক আবু তাহের হীরা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পাইকগাছায় ইন্তেকাল করেন।