খুলনা | রবিবার | ১৯ অক্টোবর ২০২৫ | ৩ কার্তিক ১৪৩২

পাকিস্তানের বিমান হামলায় ৩ আফগান ক্রিকেটার নিহত

ক্রীড়া প্রতিবেদক |
০১:৪১ পি.এম | ১৮ অক্টোবর ২০২৫


পাকিস্তানের বিমান হামলায় আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে অন্তত তিনজন আফগান ক্রিকেটার নিহত হয়েছেন। দেশটির ক্রিকেট বোর্ড আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)-এর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।

এর আগে ভারতীয় গণমাধ্যম রিপাবলিক ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যা আটজন বলে উল্লেখ করা হলেও পরে এসিবি নিশ্চিত করেছে, হামলায় তিনজন ক্রিকেটার প্রাণ হারিয়েছেন।

বোর্ড জানিয়েছে, উরগুন জেলা থেকে শারানায় এক বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে যাওয়া ওই ক্রিকেটাররা নিজ এলাকায় ফেরার পর বিমান হামলার শিকার হন। নিহতদের পরিচয় প্রকাশ করেছে এসিবি। তারা হলেন- কবির, সিবঘাতুল্লাহ ও হারুন।

এসিবির তথ্যে আরও জানা গেছে, হামলায় পাঁচজন সাধারণ নাগরিকও নিহত হয়েছেন।

এক বিবৃতিতে আফগান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) জানিয়েছে, উরগুন জেলার সাহসী ক্রিকেটারদের শহীদ হওয়ার ঘটনায় আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর এই কাপুরুষোচিত হামলা কোনোভাবেই ন্যায্য নয়।

এই ঘটনার পর আফগানিস্তান আগামী মাসে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে অনুষ্ঠেয় ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করেছে। এসিবি জানিয়েছে, নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ক্রিকেটারদের শোক ও প্রতিক্রিয়া
আফগানিস্তান টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক রশিদ খান বলেন, পাকিস্তানের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় অসংখ্য সাধারণ মানুষ, নারী, শিশু ও স্বপ্নবাজ তরুণ ক্রিকেটারদের মৃত্যু আমাকে গভীরভাবে ব্যথিত করেছে। এই বর্বরতা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের জাতীয় মর্যাদা সব কিছুর আগে। নিরপরাধ প্রাণহানির পর আসন্ন সিরিজ থেকে প্রত্যাহারের এসিবির সিদ্ধান্তকে আমি সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করছি।

অন্য তারকা ক্রিকেটার মোহাম্মদ নবী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, এই ঘটনা শুধু পাকতিকা নয়, পুরো আফগান ক্রিকেট পরিবারের জন্য এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডি।

ফাস্ট বোলার ফজলহক ফারুকি বলেন, নিরপরাধ মানুষ ও ঘরোয়া ক্রিকেটারদের হত্যাযজ্ঞ এক ভয়ংকর অপরাধ, যা কখনো ক্ষমার যোগ্য নয়।

আফগান গণমাধ্যমের তথ্যে জানা গেছে, শুক্রবার পাকিস্তান আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে ধারাবাহিক বিমান হামলা চালায়। হামলায় উরগুন ও বারমাল জেলার আবাসিক এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং বহু বেসামরিক মানুষ হতাহত হন।

এই হামলা এমন এক সময়ে ঘটে, যখন দুই দেশের মধ্যে ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর ছিল। কাবুল জানিয়েছে, ইসলামাবাদ এই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে।

বিশ্বের সংঘাত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা মনিটরএক্স জানায়, হামলার পর পাকতিকা–ওয়াজিরিস্তান সীমান্তে সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে আফগান তালেবান। সংস্থাটি একটি ছবি প্রকাশ করেছে, যেখানে যুদ্ধ সাজে সজ্জিত তালেবান যোদ্ধাদের বাসে যাত্রার দৃশ্য দেখা গেছে।

্রিন্ট

আরও সংবদ