খুলনা | রবিবার | ১৯ অক্টোবর ২০২৫ | ৪ কার্তিক ১৪৩২

চলে গেলেন ভাষা সৈনিক আহসান উল্লাহ

খবর প্রতিবেদন |
০১:০১ এ.এম | ১৯ অক্টোবর ২০২৫


ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও শ্রমিক নেতা কমরেড আহসান উল্লাহ চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আমরাতো আল্লাহর এবং আল্লাহর কাছেই ফিরে যাবো)।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
শনিবার জোহরের নামাজের পর উপজেলার জনার্দনপুর গ্রামে মরহুমের নিজ বাড়িতে গার্ড অব অনার প্রদান করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল উদ্দিন কাদের। এ সময় জোরারগঞ্জ থানা পুলিশের একটি চৌকস দল উপস্থিত ছিল।
এর আগে, শনিবার সকালে চট্টগ্রাম শহরের মিমি সুপার মার্কেটের পাশে আফমী প্লাজার পেছনে আবাসিক এলাকায় প্রথম জানাজা ও দুপুরে গ্রামের বাড়িতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমের দাফন সম্পন্ন হয়। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা, সামাজিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি ১ ছেলে ও ২ মেয়ে সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার ছেলে সাবেক ছাত্র নেতা ও বর্তমানে ফ্রান্স প্রবাসী এ এস এম রহমত উল্লাহ, মেয়ে উন্নয়ন সংস্থা ইপসা-র ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্ট এ্যাডভাইজার ড. শামসুন্নাহার চৌধুরী লোপা ও ছোট মেয়ে লুৎফুন নাহার চৌধুরী গৃহিণী।
জানা যায়, ১৯৭১ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তানি সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাসে বাধা দিয়েছিল স্থানীয় ছাত্র-জনতা ও শ্রমিকরা। এই প্রতিরোধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন ভাষা সংগ্রামী আহসান উল্লাহ চৌধুরী। তিনি শ্রমিক রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন; একসময় ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতিমন্ডলীর সাবেক সদস্য কমরেড আহসান উল্লাহ চৌধুরী দলটির চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ