খুলনা | রবিবার | ১৯ অক্টোবর ২০২৫ | ৩ কার্তিক ১৪৩২

ওয়াহিদুজ্জামান চঞ্চলের মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনায় মঞ্জু

শহীদ চঞ্চলের হত্যাকান্ডের বিচার ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে বাধাগ্রস্ত করতে মামলার নথি গায়েব করা হয়েছিল

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০১:৪৮ এ.এম | ১৯ অক্টোবর ২০২৫


শহীদ ওয়াহিদুজ্জামান চঞ্চল ‘৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের এক অকুতোভয় সিপাহসালার। চঞ্চল ছিল একজন মেধাবী ছাত্র এবং দক্ষ সংগঠক। রাজনীতি একটি আদর্শিক বিষয়, এটা ধারণ করতে সক্ষম ছিলেন শহীদ চঞ্চল। খুলনার প্রতিটি কলেজ ছাত্র-সংসদ নির্বাচনে ৮০ দশকে যে ঈর্ষণীয় সাফল্য তার পিছনে ওয়াহিদুজ্জামান চঞ্চলের অবদান অনস্বীকার্য। খুলনার ৯টি উপজেলা এবং মহানগরীর এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত পর্যন্ত ছাত্রদলকে সংগঠিত করতে তার ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য।   
গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর তেঁতুলতলা মোড়ে সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপি’র কার্যালয়ে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি শহীদ ওহিদুজ্জামান চঞ্চলের ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শহীদ চঞ্চলের হত্যাকান্ডের বিচার ইতিপূর্বে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছিল। আদালত থেকে মামলার নথি গায়েব করা হয়েছিল। পথ পরিক্রমায় নতুন করে নথি প্রস্তুত করে মামলার কার্যক্রম কিছুদিনের মধ্যে পুনরায় শুরু হচ্ছে। দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে খুনিদের, খুনের পরিকল্পনাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার আহŸান করা হয় সভা থেকে। বর্তমান ছাত্রদলের নেতাদের শহীদ ওয়াহিদুজ্জামান চঞ্চলের আর্দশ, সাহসিকতা, রাজনৈতিক কমিটমেন্ট থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে আগামী দিনের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণে ভূমিকা রাখার আহŸান জানান তিনি। স্বাধীনতার পূর্বে ও স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে রাজনীতিতে ছাত্ররাজনীতির প্রভাব ছিল ব্যাপক। কারণ মেধাবী ছাত্ররা এবং আদর্শিক চেতনাধারীরাই তখন ছাত্ররাজনীতি করেছে। শহীদ ওয়াহিদুজ্জামান চঞ্চল সেই গৌরবোজ্জ্বল ছাত্ররাজনীতির একজন গর্বিত অংশীদার ও বাহক। 
আলোচনা সভা শেষে মরহুম ওহিদুজ্জামান চঞ্চলের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মীর মোহাম্মাদ বাবু। মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে মুশফিকুর রহমান অভির পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক মেয়র ও নগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, শেখ মোশাররফ হোসেন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, সাদিকুর রহমান সবুজ, সরদার রবিউল ইসলাম রবি, কামরান হাসান, আল আমিন তালুকদার প্রিন্স, রবিউল আলম, মামুনার রহমান, রাজিবুল আলম বাপ্পি ও সালাউদ্দিন সান্নু। 
আলোচনা সভা ও দোয়ায় উপস্থিত ছিলেন মাহবুব কায়সার, ইকবাল হোসেন খোকন, নিজাম উর রহমান লালু, ইউসুফ হারুন মজনু, মজিবর রহমান ফয়েজ, রফিকুল ইসলাম শুকুর, শামসুজ্জামান চঞ্চল, ইশহাক তালুকদার, রবিউল ইসলাম রবি, মোস্তফা কামাল, কাজী মাহবুবুল হক, মেজবাহ উদ্দিন মিজু, মহিউদ্দিন টারজান, জাহিদ কামাল টিটো, আব্দুল জব্বার, নাসির খান, ইকবাল হোসেন, মিজানুজ্জামান তাজ, নাহিদ মোড়ল, আবুল বাসার, মনিরুজ্জামান মনির, শামীম খান, মিজানুর রহমান ডিকেন, নুরুল ইসলাম লিটন, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, জাকারিয়া লিটন, ইফতেখার জামান নবীন, সুলতান মাহমুদ সুমন, মাজেদা খাতুন, আব্দুর রব মুন্সি, খান মঈনুল ইসলাম মিঠু, শাকিল আহমেদ, গৌতম দে হারু, শরিফুল ইসলাম সাগর, মাসুদ রেজা,  আলমগীর ব্যাপারী, আব্দুল হাকিম, সমির কুমার সাহা, মোস্তফা জামান মিণ্টু, সেলিম বড় মিয়া, আকিরুন ইসলাম, ফিরোজ আহমেদ, সজল আকন নাসিব, আব্দুস সালাম, হুমায়ুন কবির, সৈয়দ গাজী, খান আবু দাউদ, মিজানুর রহমান মিজান, শহিদুল ইসলাম লিটন, শামসুল আলম বাদল, খান রাজিব, এমরান হোসেন, হাবিব খান, এ আর রহমান, আসাদ সানা, রুহুল আমিন রাসেল, আশরাফুল আলম মনি, ইউনুচ শেখ, ঈশা শেখ, শামীম রেজা, মাসুদ পারভেজ, রিপন হাওলাদার, নুর আলম, খন্দকার সোহেল, রাজিব খান রাজু, মাসুদ রানা, জুয়েল রহমান, সিরাজুল ইুসলাম বাবলু, হারুন হেলাল, রাজু আহমেদ রাজ, শরিফুল ইসলাম, শফিউদ্দিন, রিফাত পারভেজ, কামরুল আলম খোকন, এস এম মাহমুদ, রেজাউল করিম, আসমত হোসেন, ইমতিয়াজ সিজান, তামিম হাসান, আলামিন শেখ, সিদ্দিক মাতবর, মাসুম শেখ, রাসেল ফরাজী, নাঈম ইসলাম, তৌহিদুজ্জামান, নাজমা বেগম, লাকী আক্তার, আরিয়ান সিয়াম, মমিনুল ইসলাম ও তৌফিকুজ্জামান দ্বিপ প্রমুখ।

্রিন্ট

আরও সংবদ