খুলনা | সোমবার | ২০ অক্টোবর ২০২৫ | ৫ কার্তিক ১৪৩২

মাঠে থাকবে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনা

নির্বাচনে ৫ দিনের বদলে ৮ দিন সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব

খবর প্রতিবেদন |
০২:৫৯ পি.এম | ২০ অক্টোবর ২০২৫


আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোতায়েনকাল পাঁচদিন থেকে বাড়িয়ে আটদিন করার প্রস্তাব এসেছে। নির্বাচনের আগে তিনদিন, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচনের পর চার দিন মাঠে থাকবে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা।

সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রতিরক্ষা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময় সভায় এ প্রস্তাব উঠে আসে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, সভায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার-ভিডিপি, গোয়েন্দা সংস্থা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা, নির্বাচনী সামগ্রী পরিবহন, পার্বত্য ও উপকূলীয় এলাকার বিশেষ ব্যবস্থা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, কালো টাকা নিয়ন্ত্রণ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব রোধসহ নানা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

ইসির সিনিয়র সচিব জানান, নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য মাঠে কাজ করবে। তবে আরপিও সংশোধনের পর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারিত হবে।

তিনি জানান, নির্বাচনী প্রচারণায় সাধারণ নাগরিকদের ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধ, তবে প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ড্রোন ব্যবহার করতে পারবে। ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণে বডি-অন ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এআই প্রযুক্তি ও সাইবার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার ও গুজব প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নির্বাচনে মাঠে কত পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে সে বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনে প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। সেনাবাহিনী থাকবে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ। আনসার-ভিডিপি থেকে আসবে প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ সদস্য।

অস্ত্র উদ্ধার ও বাজেট বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইসি সচিব বলেন, দেশে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে এখন পর্যন্ত ৮৫ শতাংশ সাফল্য এসেছে, বাকি অংশ উদ্ধারের কাজ চলছে। তবে নির্বাচনের বাজেট এখনো চূড়ান্ত হয়নি। পরবর্তী বৈঠকগুলোতে প্রশিক্ষণ, পরিবহন ও নিরাপত্তা খাতে ব্যয় নির্ধারণ করা হবে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ আছে কি না—এমন প্রশ্নে ইসির সিনিয়র সচিব বলেন, কোনো বাহিনীর মধ্যেই আমি উদ্বেগ দেখিনি। বরং সবাই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশে নির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ আছে। আজকের বৈঠক ছিল প্রস্তুতির সূচনা। যা ধাপে ধাপে আরও সমন্বিত করা হবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ