খুলনা | মঙ্গলবার | ২১ অক্টোবর ২০২৫ | ৫ কার্তিক ১৪৩২

তালায় জামায়াতের ছাত্র ও যুব সমাবেশ

জন্ম নিয়েই বাপের সঙ্গে পাল্লা দিও না : গোলাম পরওয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক ও তালা প্রতিনিধি |
১২:৩২ এ.এম | ২১ অক্টোবর ২০২৫


জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহবায়ক নাহিদ ইসলামের ফেসবুক পোস্ট ইস্যুতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, একটা দল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেছে-জামায়াত সংস্কার, অংশীদারিত্বের রাজনীতি, দেশ গঠন ও অভ্যুত্থানে কোনো ভূমিকা রাখেনি। তোমরা নতুন দল, রাজনীতিতে জামায়াতের সঙ্গে পাল্লা দিতে গেলে বহু দূর যেতে হবে। জন্ম নিয়েই বাপের সঙ্গে পাল্লা দিও না। সোমবার বিকেলে সাতক্ষীরার তালা ফুটবল মাঠে ছাত্র-যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ঐকমত্য কমিশনে লিখিতভাবে জামায়াতই পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিয়েছে। অথচ নতুন গঠিত ছাত্রদের একটি দলের নেতা দুঃখজনক স্ট্যাটাস দিয়ে এই সমালোচনা করেছেন। কেউ তাদের নাম নেয় না, চাইছে জামায়াত যেনো সমালোচনা করে। চব্বিশের আন্দোলনে তারা অনেক ভূমিকা রেখেছে।
দলটির নেতা-কর্মীদের জুলাই যোদ্ধা উলে­খ করে তিনি আরও বলেন, তাদের প্রতি জামায়াতের শ্রদ্ধা ও দোয়া থাকবে। অশ্লীল, অরাজনৈতিক ভাষা ব্যবহার করা কোনো রাজনৈতিক নেতার জন্য শোভনীয় নয় বলে মন্তব্য করেন গোলাম পরওয়ার।
হিন্দুদের ভোট প্রসঙ্গে জামায়াতের এই নেতা বলেন, হিন্দু মানে নৌকা নয়, হিন্দু মানে দাঁড়িপাল্লা। দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিলে অতীতের সকল শাসনের থেকে জামায়াতের শাসনে তারা নিরাপদে থাকবে বলে মন্তব্য করেন। বলেন, মানবিক বাংলাদেশ চাই, যেখানে জুলুম থাকবে না, নির্যাতন থাকবে না।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বিএনপি এখন জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার কথা বলে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সুরে কথা বলছে। কোন প্রকার প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে জামায়াতে ইসলামীর অগ্রযাত্রা রোধ করা যাবে না। তিনি বলেন সাতক্ষীরার প্রতিটি আসনে এখন দাঁড়িপাল­ার জোয়ার উঠেছে। শুধু সাতক্ষীরা নয়, নতুন বাংলাদেশের জনগণ দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিতে প্রস্তুত।
অধ্যাপক পরওয়ার আরও বলেন, হিন্দু মানেই আওয়ামী লীগ-এ ধারণা ভুল। তালা-কলারোয়ার হিন্দুরা যদি দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেন, তারা সবচেয়ে নিরাপদ থাকবে। তিনি অতীতের শহিদ ও নেতাদের স্মরণ করে বলেন জামায়াতে ইসলামী জনগণের অধিকার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার রাজনীতি করে। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন ৫ আগস্টের পর একটি দল দেশজুড়ে দখলবাজি ও চাঁদাবাজি শুরু করেছে। মানুষ এখন শান্তি ও ন্যায়ের রাজনীতি চায়, যার প্রতীক দাড়িপাল্লা। তালা-কলারোয়াকে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত করা এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই জামায়াতে ইসলামীর মূল লক্ষ্য। 
উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মফিদুল­াহর সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ মোঃ ইজ্জত উল­াহ এবং ইসলামী ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী ইদ্রিস আলীর সঞ্চালনায় আরও বক্তৃতা করেন খুলনা অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আবদুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, সাবেক জেলা আমীর হাফেজ রবিউল বাসার, সাতক্ষীরা জেলা আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, নায়েবে আমীর ডাঃ মাহমুদুল হক, জেলা সেক্রেটারি আজিজুল ইসলাম, ডুমুরিয়া জামায়াতে ইসলামী অমুসলিম শাখার সভাপতি কৃষ্ণ নন্দী, খুলনা জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন, সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক সুজায়েত আলী, সাতক্ষীরা জেলা যুব জামায়াত সভাপতি ওমর ফারুক এবং জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি জুবায়ের হোসেন প্রমুখ। সমাবেশে সাতক্ষীরাসহ আশে পাশের উপজেলা থেকে শত শত জামায়াতে ইসলামীর অনুসারীরা উপস্থিত ছিলেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ