খুলনা | মঙ্গলবার | ২১ অক্টোবর ২০২৫ | ৬ কার্তিক ১৪৩২

সরিষার তেলে পোড়া মবিল মেশানোর দায়ে একজনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:৪৬ এ.এম | ২১ অক্টোবর ২০২৫


ঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকায়  সততা অয়েল মিলের সরিষার তেলে শত্র“তাবশতঃ পোড়া মবিল মেশানোর ঘটনায় শহরের খন্দকার পাড়ার বাসিন্দা আসামি আশরাফুল ইসলাম ওরফে আশরাফ মিস্ত্রিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে মামলার রায় প্রদান করেন ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মোঃ মাহবুব আলম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর মধ্য রাতে ঝিনাইদহের হামদস্থ শেরে বাংলা অয়েল এন্ড রাইস মিলের মালিক আঃ মালেক ও কালীচরণপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের পরিকল্পনা ও প্রত্যক্ষ মদদে ব্যবসায়ী নওশের আলীকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সততা অয়েল মিলসের ১২ ড্রাম সরিষার তেলের মধ্যে পোড়া মবিল মিশিয়ে দেয় আসামি আশরাফসহ আরো পাঁচজন। ঐ সময় ঘটনাটি সারা শহরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
এ ঘটনায় বাদী হয়ে নওশের আলী ঝিনাইদহ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যা পরবর্তীতে এজাহার হিসেবে (মামলা নম্বর এসটিসি-৮৩/১১) রেকর্ড হলে, মামলার আইও এসআই আজিজুর রহমান আদালতে ৭ জনকে আসামি করে অভিযোগ পত্র দেন। মামলা চলাকালীন সময়ে ২০২১ সালে হাফিজ চেয়ারম্যান মারা যান। ১৪ বছরের দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ মামলার রায় প্রদান করেছেন ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মোঃ মাহবুব আলম। রায়ে তিনি আসামি আশরাফকে যাবজ্জীবন (১৪ বছর) কারাদণ্ড দিয়েছেন। 
মামলার বাদী মরহুম নওশের আলীর পুত্র সততা অয়েল মিলসের বর্তমান সত্বাধিকারী মিরাজ জামান রাজ জানান, রায়ে তিনি আংশিক সন্তুষ্ট, তবে মূল পরিকল্পনাকারী অর্থদাতা শেরে বাংলা অয়েল এন্ড রাইস মিলের মালিক আব্দুল মালেকসহ সহযোগী আসামিরা খালাস পেয়েছেন বলে তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন। তিনি আরও জানিয়েছেন অন্যান্য আসামিদেরও ছাড় দেয়া হবে না।  তাদেরও শাস্তি নিশ্চিতের জন্য উচ্চ আদালতে আপীল করবেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ