চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় বিষাক্ত মদপানে ছয়জনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসন চারজনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ মঙ্গলবার একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এসব মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা হবে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস) জামাল আল নাসের আলী।
তিনি জানান, এ ঘটনায় সদর থানায় ইতোমধ্যে মামলা করা হয়েছে। দুইজনের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। আদালতের নির্দেশে বাকি চারজনের মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হবে।
যাদের মরদেহ উত্তোলন করা হবে তারা হলেন চুয়াডাঙ্গা সদরের পিরোজখালী গ্রামের নবীছউদ্দিনের ছেলে লাল্টু হোসেন, খেজুরা গ্রামের মৃত দাউদ আলীর ছেলে সেলিম (৪৫), নফরকান্দি গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে খেদের আলী (৫০) এবং শংকরচন্দ্র গ্রামের শহিদুল মোল্লা।
এর আগে ৯ অক্টোবর দিবাগত রাতে সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজার এলাকায় বেশ কয়েকজন মিলে বিষাক্ত এ্যালকোহল পান করেন। এরপর একে একে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং বিভিন্ন সময়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়। রোববার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যুর পর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। পরে পুলিশ নিহতদের বাড়িতে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। এ সময় জানা যায় নিহতদের মধ্যে চারজনকে গোপনে দাফন করে ফেলেছিল তাদের পরিবারের সদস্যরা। আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার ওই চারজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা হবে।
এদিকে এই মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ব্যবহৃত বিষাক্ত স্পিরিটের যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। বিষয়টি তদন্ত করতে গিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ মূলহোতাসহ দু’জনকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১১৭ বোতল মেয়াদোত্তীর্ণ স্পিরিট।