খুলনা | বুধবার | ২২ অক্টোবর ২০২৫ | ৬ কার্তিক ১৪৩২

দেবহাটায় ব্যবাসীয়কে বে-আইনী মালামাল ও মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা!

দেবহাটা প্রতিনিধি |
১২:০০ এ.এম | ২২ অক্টোবর ২০২৫


দেবহাটার গাজীরহাটের মাসুদ রানা নামে এক মাছ ব্যবসায়ীকে ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় টাকা আদায় ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মঙ্গলবার উপজেলার গাজীরহাট বাজারস্থ ওই ব্যবসায়ীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান কয়েক বছর আগে ৬২৯ নং দলিল মূলে রামনাথপুর মৌজায় ৪১.২৫ শতক জমি ক্রয় করেন। যার বিআরএস খতিয়ান-১৮৬, দাগ নং-৫০৪, অপর খতিয়ান ৪৯৭ এবং ৫০৫ নং দাগে। উক্ত জমি ক্রয় করার পর থেকে তিনি ভোগ দখল করে আসছেন। কিন্তু ওই জমির দক্ষিণ পাশে বসবাসকারী কামটা গ্রামের আক্তার গাজীর ছেলে রুহুল আমিন লিটন দীর্ঘদিন ধরে ওই জমি দখলের চেষ্টা করে আসছেন। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে গোলযোগ চলে আসছে। এমনকি একের পর এক মামলায় মাসুদ রানাকে আসামি করে হয়রানী করে আসছে লিটন নামের ওই ব্যক্তি।
তিনি বলেন, বিগত ৫ আগস্টের পর থেকে লিটনের প্ররোচনায় ওয়ার্ড জামায়াতের সেক্রেটারী মোমিন হোসেন বিভিন্ন সময় মামলায় নাম না দেওয়া, পুলিশের হয়রানী থেকে রক্ষা করার কথা বলে তার নিকট থেকে অর্থ আদায় করে। এমনকি মাসুদ রানার নিকট থেকে ধার নেওয়া টাকা চাইতে গেলে বাঁধে বিপত্তি। এছাড়া স্থানীয় বিএনপি নেতা আলিম গাইন টাকা আদায়ের লক্ষে ভয়ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছে। এসব ঘটনার জের ধরে গত ২০ অক্টোবর রাতে বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে হয়রানীর চেষ্টা করে। পুলিশ সদস্যরা আমার বাড়িতে ঢুকে সব রুম, রান্নাঘর তল­াশী করে কোন কিছু উদ্ধার করতে পারেনি। তারা আমার বাড়িতে অস্ত্র, মাদক, বে-আইনী জিনিসপত্র রেখে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলে আমি জানতে পেরেছি। আমি একজন সাধারণ ব্যবসায়ী আমাকে আইনের চোখে দোষী প্রমাণিত করতে একের পর এক হয়রানী করা হচ্ছে। বিগত সরকারের সময় বৈধভাবে জমি ক্রয় করার পর থেকে আমাকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। যা বর্তমানেও বন্ধ হয়নি। এখন আমাকে দলীয় ভাবে হওয়া মামলায় আসামি করা হবে বলেও হুমকি দিচ্ছে অনেক নেতাকর্মী। আমি আমার পরিবার নিয়ে নিরুপায় হয়ে আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছি। তাই হয়রানী এবং মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ওসিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

 

্রিন্ট

আরও সংবদ