খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৩ অক্টোবর ২০২৫ | ৭ কার্তিক ১৪৩২

ফুলতলায় গৃহবধূ চুমকির খুনী হোসেন কাজীর আদালতে জবানবন্দি

ফুলতলা প্রতিনিধি |
১২:৩৩ এ.এম | ২৩ অক্টোবর ২০২৫


ফুলতলায় পরকিয়ার জেরে গৃহবধূ আসিয়া খানম চুমকির খুনী হোসেন কাজী (২৯) আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। বুধবার বিকেলে খুলনার চীফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে চুমকির লাশের ময়না তদন্ত শেষে তার বাবার বাড়ি নড়াইল জেলার কালিয়া থানার যাদবপুর গ্রামে দাফন সম্পন্ন হয়। 
চুমকি হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফুলতলা থানার ওসি মোঃ জেল­াল হোসেন বলেন গ্রেফতার আসামি নড়াইল সদরের উজিরপুর গ্রামের মৃত রেজা কাজীর পুত্র হোসেন কাজী (২৯) কে বুধবার দুপুরে খুলনার চীফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-এর খাস কামরায় হাজির করা হয়। সেখানে সে গৃহবধূ চুমকিকে গলা কেটে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে। সে জানায় চুমকি ছিল তার পূর্ব পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে তাদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় মোবাইল ফোনে যোগাযোগ এমনকি উপহার সামগ্রী প্রদান এবং বিভিন্ন স্থানে সুযোগ বুঝে ঘুরতে যেত। গত ১০ অক্টোবর দুপুরে হোসেন কাজী প্রেমিকা চুমকির বসত ঘরে অবস্থান করে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে চুমকির চাচা শ্বশুর তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে হোসেনকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। প্রতিশোধ নিতে মঙ্গলবার ভোর বেলায় সবার অলক্ষে ধারালো ছুরি নিয়ে তাদের ছাদের উপর আত্মগোপনে থাকে। সুযোগ বুঝে সে বেলা সাড়ে ১১টায় চুমকির কাছে যায় এবং তার পাওনা উপহার সামগ্রী ও টাকা ফেরত চায়। উভয়ের মধ্যে বাক বিতন্ডের এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ছুরি দিয়ে চুমকির গলা কেটে ফেলে। রক্তমাখা ছুরিটি ওয়াশরুমের ফলস ছাদে রেখে হোসেন কাজী ছাদের উপর পানির ট্যাংকের মধ্যে আত্মগোপন করে। সুযোগ বুঝে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। কিন্তু তার আগেই পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। ম্যাজিস্ট্রেট তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। 
এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে চুমকির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার পিতা নড়াইল জেলার কালিয়া থানার যাদবপুর গ্রামে তাকিবুর শেখের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। সেখানে জানাজা শেষে স্থানীয় সরকারি গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। মঙ্গলবার নিহত চুমকির স্বামী ফুলতলার দামোদর জমাদ্দার পাড়া এলাকার ছরো মোড়লের পুত্র সহিদ মোড়ল বাদী হয়ে হোসেন কাজীকে আসামি করে ফুলতলা থানায় মামলা (নং-০৭, তারিখ-২১/১০/২৫ ইং) দায়ের করেন। 

্রিন্ট

আরও সংবদ