বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদ পুরো পরিবর্তনের সুযোগ নেই বলে মনে করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহবায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ বুধবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেছেন তিনি। কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বললে তাঁদের দুরভিসন্ধি রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন নাহিদ ইসলাম।
এর আগে মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকার ও প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করার দাবি জানায় বিএনপি। অন্তর্বর্তী সরকারকে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা নেওয়ার আহবান জানিয়ে বিএনপি নেতারা সরকারের মধ্যে দলীয় লোক থাকলে তাঁদের অপসারণের দাবি জানান।
এরপর বুধবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে এ কথা বললেন এনসিপি নেতা নাহিদ ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মনে করি, উপদেষ্টা পরিষদের নিরপেক্ষতা এবং দক্ষতা নিশ্চিত করা লাগবে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য। সে দাবির সঙ্গে ভিন্নমত নেই। কিন্তু এই উপদেষ্টা পরিষদ পুরো পরিবর্তন করতে হবে, এটার আসলে সুযোগ নেই।’
বুধবার বিকেল ৫টায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তাঁর বাসভবন যমুনায় পৌঁছান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ চার নেতা। এনসিপির আহŸায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-আহŸায়ক সামান্তা শারমিন ও যুগ্ম-আহŸায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ।
বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া, বাস্তবায়নের জন্য সাংবিধানিক আদেশ জারি করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়েছে বলে জানান নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা আমাদের কথা শুনেছেন এবং বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন।’
বড় রাজনৈতিক দলগুলো জেলা প্রশাসক-পুলিশ সুপারের মতো পদ ভাগ-বাটোয়ারা করে নিচ্ছে বলে দাবি করেছেন এনসিপি আহŸায়ক নাহিদ ইসলাম। নাহিদ বলেন, আমরা জেনেছি বিভিন্ন দল প্রশাসনে ভাগ-বাটোয়ারা করে নিচ্ছে। বড় দলগুলো এসপি-ডিসি পদ ভাগ-বাটোয়ারা করছে। এভাবে চলতে থাকলে সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণœ হবে। সরকার যাতে নিরপেক্ষভাবে চলে এবং উপদেষ্টা পরিষদের যাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তাদের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহŸান জানিয়েছি। 
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ কমিশনের দরকার উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম সরকারের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, জনপ্রশাসনের যে পদায়ন হচ্ছে, তা কিসের ভিত্তিতে হচ্ছে? নিরপেক্ষতা নাকি ও যোগ্যতার ভিত্তিতে হচ্ছে।