খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৩ অক্টোবর ২০২৫ | ৭ কার্তিক ১৪৩২

জৈন্তাপুর সীমান্তে চোরাকারবারিদের সংঘর্ষে যুবক নিহত, বিজিবি সদস্য আহত

খবর প্রতিবেদন |
০১:২৫ এ.এম | ২৩ অক্টোবর ২০২৫


সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী চতুল-লালাখাল সড়কে চোরাকারবারিদের সঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে আলমাস উদ্দিন (২৩) নামের এক যুবক নিহত এবং একজন বিজিবি সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত আলমাস উদ্দিন জৈন্তাপুর উপজেলার চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল (পূর্বগ্রাম) এলাকার শরীফ উদ্দিনের ছেলে। ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকাল ১০টার দিকে, চারিকাটা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বালিদাড়া কান্দির মুখ মসজিদের দক্ষিণে, তাজ উদ্দিনের বাড়ির পাশে চতুল-লালাখাল সড়কে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, বিজিবি জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের সুইরঘাট বিওপি’র ৪ জন সদস্য দু’টি মোটরসাইকেলে টহল দিচ্ছিলেন। এ সময় সীমান্তবর্তী লালাখাল এলাকার ভিত্তিখাল দিক থেকে ভারতীয় পণ্যবোঝাই একটি পিকআপ আসতে দেখে তারা সড়কে লোহার চেইন দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন ও গাড়িটিকে থামান। বিজিবি সদস্যরা গাড়ির চালকসহ সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের চ্যালেঞ্জ করলে, কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে চোরাকারবারিদের সঙ্গে স্থানীয় কিছু লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিজিবি সদস্যদের ঘেরাও করে। তখনই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে, এবং উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। সংঘর্ষে একজন বিজিবি সদস্য দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন। এদিকে আলমাস উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এ ঘটনার পর বিজিবি জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজিবি সদস্যরা ভিত্তিখাল সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান বিরোধী অভিযান চলাকালীন টহলদল একটি অবৈধ পণ্যবাহী পিকআপ আটক করলে অজ্ঞাতনামা একদল সশস্ত্র চোরাকারবারী দেশীয় ধারালো অস্ত্র, দা, বল্লম, লাঠি-সোটাসহ টহলদলের উপর আকস্মিকভাবে হামলা চালায় এবং আটককৃত মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। চোরাকারবারীদের ক্রমাগত আক্রমণ থেকে সরকারি সম্পদ (অস্ত্র ও গোলাবারুদ) ও টহলদলের সদস্যদের জান-মাল রক্ষার্থে বিজিবি সদস্যরা নিরুপায় হয়ে ৪-৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলাকারীদের আক্রমণে একজন বিজিবি সদস্য মারাত্মকভাবে আহত হয়ে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

্রিন্ট

আরও সংবদ