খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৩ অক্টোবর ২০২৫ | ৮ কার্তিক ১৪৩২

অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধস পাকিস্তানের, ‘১৮ বছর’ পর জিতল প্রোটিয়ারা

ক্রীড়া প্রতিবেদক |
০২:৩৭ পি.এম | ২৩ অক্টোবর ২০২৫


হার দিয়ে পাকিস্তানে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন (২০২৫-২৭) চক্র শুরু করেছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় টেস্টে তারা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ১-১ সমতায় সিরিজ শেষ করেছে। ২০০৭ সালের পর এই প্রথম পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট ম্যাচ জিতল প্রোটিয়ারা। স্বাগতিকদের দেওয়া মাত্র ৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় এইডেন মার্করামের দল ৮ উইকেট হাতে রেখে জিতেছে।

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ম্যাচের লাগামটা এনে দিয়েছিলেন টেল-এন্ডার ব্যাটাররা। নবম উইকেটে সেনুরান মুথুশামি ও কেশভ মহারাজ মিলে ৭১ এবং মুথুশামি-কাগিসো রাবাদা মিলে দশম উইকেটে ৯৮ রানের জুটিতে সফরকারীদের ৭৩ রানের লিড এনে দেন। সেটি পেরিয়ে মাত্র ৬৭ রান করতে পারে শান মাসুদের দল। পাকিস্তান আজ (বৃহস্পতিবার) চতুর্থ দিনে খেলতে নেমেই বিপর্যয়ে পড়ে ৪৪ রানে ৬ উইকেট হারায়।

এর আগে তৃতীয় দিন শেষে স্বাগতিকদের পুঁজি ছিল ৪ উইকেটে ৯৪ রান। বাবর আজম ৪৯ এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। আজ দিনের শুরুতে আউট হয়ে যান বাবর। এর আগে তিনি ফিফটি পূর্ণ করেন এবং স্রেফ ২ রান যোগ করেছিল পাকিস্তান। ৮৭ বলে ৭ চারের সাহায্যে টেস্টে ৩০তম হাফসেঞ্চুরি করেছেন বাবর। এরপরই শুরু হয় উইকেটের মিছিল। ১০৫ রানের পর লাগাতার আউট হয়েছেন রিজওয়ান (১৮), নোমান আলি (০) ও শাহিন আফ্রিদি (০)। সালমান আগা (২৮) ও সাজিদ খানও (১৩) টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ।

ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস থামে মাত্র ১৩৮ রানে। প্রোটিয়াদের ৭১ রানের লিড বাদ দিলে তাদের পুঁজি থাকে স্রেফ ৬৭ রান। সফরকারীদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট শিকার করেছেন সিমন হারমার। এ ছাড়া কেশভ মহারাজ ২ (দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট) ও রাবাদা এক উইকেট নেন।

ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ওয়ানডে মেজাজে রান তুলেছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক মার্করাম ও রায়ান রিকেলটন। মার্করাম ৪২ রানে ফিরলেও, রিকেলটন ২৫ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিশ্চিত করেছেন। মাঝে রানের খাতা না খুলতেই ফিরেছেন ত্রিস্তান স্টাবস। তবে তাদের জয় পেতে অসুবিধা হয়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের দুটি উইকেটই নিয়েছেন নোমান আলি।

এর আগে প্রথম ইনিংসে শান মাসুদ (৮৭), সৌদ শাকিল (৬৬) ও আব্দুল্লাহ শফিকের (৫৭) ফিফটিতে ৩৩৩ রান সংগ্রহ করেছিল পাকিস্তান। প্রোটিয়া স্পিনার কেশভ মহারাজ নেন ৭ উইকেট। এরপর নিজেদের ইনিংসে ত্রিস্তান স্টাবস ৭৬ ও টনি ডি জর্জি ৫৫ রান করার পর বিপর্যয়ে পড়ে প্রোটিয়ারা। ২১০ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে তারা বড় ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার শঙ্কায় পড়ে। কিন্তু মুথুশামির হার না মানা ৮৯ এবং রাবাদার টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম হাফসেঞ্চুরিতে (৭১) উল্টো লিড নেয় ৭১ রানের (৪০৪)। ৩৮ বছর বয়সে ৬ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েন পাক স্পিনার আসিফ আফ্রিদি।

্রিন্ট

আরও সংবদ