খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৩ অক্টোবর ২০২৫ | ৮ কার্তিক ১৪৩২

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মাওলানা আবুল কালাম আজাদের সাজা স্থগিত

খবর প্রতিবেদন |
০৫:৩৯ পি.এম | ২৩ অক্টোবর ২০২৫


মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু মিয়ার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করেছে সরকার।

বুধবার (২২ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (কারা-২) শাখা থেকে জারি করা এক আদেশে সাজা স্থগিতের বিষয়টি জানানো হয়।

আদেশে তার বিরুদ্ধে প্রদত্ত দণ্ডাদেশ আদালতে আত্মসমর্পণপূর্বক আপিল দায়েরের শর্তে এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।

সরকারি এই আদেশের ফলে মাওলানা আবুল কালাম আজাদকে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার আগে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এরপর তিনি আপিল দায়ের করতে পারবেন।

মাওলানা আবুল কালাম আজাদকে ২০১৩ সালের ২১ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল-২ এর তৎকালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। ওই সময় থেকে তিনি পলাতক।

গত ৮ জুলাই এই মামলায় সাজা স্থগিত চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। মন্ত্রণালয় তার আবেদনের ওপর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাছে মতামত চেয়ে পাঠান। আইন মন্ত্রণালয় ১৮৯৮ সালের ৫ ধারা ৪০১ (১) এর ক্ষমতাবলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত দণ্ডাদেশ এক বছরের জন্য স্থগিত করেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি আপিল দায়েরের সুযোগ পাবেন।

আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মোট আটটি অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর মধ্যে সাতটি অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তিনটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি চারটি অভিযোগে কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হলেও মৃত্যুদণ্ডের সাজা হওয়ার কারণে আলাদা করে শাস্তি নির্ধারণ করা হয়নি। একটি অভিযোগ প্রমাণের অভাবে খারিজ করা হয়।

আবুল কালাম আজাদের এই রায়ই ছিল যুদ্ধাপরাধ সম্পর্কিত প্রথম মামলার রায়। তবে রায় ঘোষণার সময় তিনি পলাতক ছিলেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আগেই তিনি দেশত্যাগ করেন।

মাওলানা আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠলেও ইসলামিক স্কলার হিসেবে সুপরিচিতি আছে। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলা এবং এনটিভিতে তিনি ইসলামি অনুষ্ঠান পরিচালনা করতেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে ইসলামের জীবনঘনিষ্ঠ বিষয়াদি নিয়ে তিনি আলোকপাত করতেন। নব্বইয়ের দশক থেকে এসব অনুষ্ঠান ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল।

ফরিদপুরের সালথা-নগরকান্দা এলাকায় তার জন্ম হলেও স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে তিনি ঢাকায় বসবাস করেন। তিনি বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ