খুলনা | শুক্রবার | ২৪ অক্টোবর ২০২৫ | ৯ কার্তিক ১৪৩২

সাতক্ষীরা সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা হাবিব

প্রতিশোধ নয়, গণমানুষের সেবা করে যেতে চাই

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা |
০২:১১ এ.এম | ২৪ অক্টোবর ২০২৫


বিএনপি’র কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেছেন, শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মিথ্যা মামলায় আমাকে ৭০ বছর কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছিল। টানা পাঁচ বছর আমি জেল খেটেছি। আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়া এবং এলাকাবাসীর ভালোবাসায় আমি  জেল থেকে মুক্তি পেয়েছি। এরপর মিথ্যে সাজা থেকে আমি খালাসও  পেয়েছি। তিনি বলেন আমি প্রতিশোধমূলক রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। আমার বিরুদ্ধে আদালতে যারা মিথ্যা সাক্ষী দিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার কোনো মানসিকতা আমার নেই। আমি কখনোই প্রতিশোধ নিতে চাই না, এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত। অন্যরা যদি কিছু করতে চায় করুক, তাতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু আমি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই।
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মিথ্যা মামলায় ৭০ বছরের সাজা থেকে তিনিসহ ৪৪ জন বিএনপি নেতা খালাস পাওয়ায় বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা শহরের একটি আবাসিক হোটেলের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন আমাদের যে সাজা দেওয়া হয়েছিল, সেখানে আমাদের মৃত্যু হওয়ার কথা ছিল। মৃত্যুবরণ না করে ফিরে এসেছি, যে যে ধর্মেরই হোক না কেন, এখন মানবসেবাই আমার লক্ষ্য। স্রষ্টার এবাদত ও সৃষ্টির সেবাই এখন আমার কাজ।
হাবিবুল ইসলাম হাবিব অভিযোগ করে বলেন যে মাফুজাকে ধর্ষণের ঘটনায় শেখ হাসিনা সাতক্ষীরায় এসেছিলেন, সেই ঘটনার বিচার তিনি করেননি। উল্টো আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে আমাকে ৭০ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছিল। অথচ ওই দিন আমি সাতক্ষীরায় ছিলাম না। ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় ছিলাম। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে আমাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছিল। কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমি আবার আমার এলাকার মানুষের মাঝে ফিরে এসেছি। আমি আমৃত্যু আমার এলাকার মানুষের সেবা করে যেতে চাই। 
এর আগে বুধবার বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৪৪ জন আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হিজলদি গ্রামে এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিত স্ত্রীকে দেখতে যান। ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে তাঁর গাড়িবহরে হামলা, গুলিবর্ষণ, বোমা বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনে তিনটি মামলা হয়। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শফিকুর রহমান ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনে আদালতে পৃথক তিনটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। 

্রিন্ট

আরও সংবদ