খুলনা | রবিবার | ২৬ অক্টোবর ২০২৫ | ১১ কার্তিক ১৪৩২

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড়

বাগেরহাটের কচুয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রাক্তন শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট |
১২:১৬ এ.এম | ২৬ অক্টোবর ২০২৫


বাগেরহাটের কচুয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ আল মাহমুদের বিরুদ্ধে প্রাক্তন শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে, আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। তদন্ত পূর্বক ঘটনার সঠিক বিচারের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল। 
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগ ২০২৪ সালে এসএসসি পাস করার পরে তিনি ঢাকার কাছাকাছি একটা জেলায় থাকেন। তাই তিনি প্রধান শিক্ষককে বলেছিলেন ঢাকায় আসলে যেন তিনি সার্টিফিকেট ও  প্রত্যয়ণপত্র নিয়ে আসেন। অভিযুক্ত শিক্ষক এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলনে যোগ দিতে ঢাকায় ছিলেন। পূর্ব নির্ধারিত সময় ১৪ অক্টোবর সনদ ও প্রত্যয়নপত্র নেওয়ার জন্য ওই শিক্ষার্থী ঢাকায় আসেন। ওই শিক্ষক তাকে নাস্তা করান এবং গুলিস্তানের নবাবপুর রোডে অবস্থিত হোটেল সাদমান ইন্টারন্যাশনাল (আবাসিক) এ যাওয়ার অনুরোধ করেন। পরে তাকে হোটেলের ৮১৬ নাম্বার কক্ষে নিয়ে সেখানে ধর্ষণ চেষ্টা করা হয় বলে দাবি ওই শিক্ষার্থীর। পরে ওই শিক্ষার্থীর ডাক চিৎকারে পাশের কক্ষ থেকে লোকজন এসে ওই শিক্ষককে রিসিপশনে নিয়ে যায়। সেখানে ওই শিক্ষককে মারধর করা হয় বলে দাবি করেন শিক্ষার্থী।
বিষয়টি নিয়ে ওই শিক্ষার্থী ২৩ অক্টোবর নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক এ্যাকাউন্ট ও প্রাণের শহর কচুয়া - Praner Shohor Kachua  নামের একটি গ্র“পে স্টাটাস দেয়। এরপরই বিষয়টি নিয়ে উপজেলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়।
ওই শিক্ষার্থী বলেন, প্রধান শিক্ষককে তিনি খুব শ্রদ্ধা করতেন। ওই শিক্ষক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করবেন তিনি ভাবতেই পারেন না। এই ঘটনার সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে জানতে বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ আল মাহমুদকে ফোন করে ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার একটা ফোন আসছে পরে কথা বলব। পরে তাকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এদিকে শুক্রবার বিকেলে কচুয়া প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন এই শিক্ষক। সেখানে তিনি দাবি করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার কাছে আসে এবং সনদপত্র-প্রতয়ন পত্র নিয়ে চলে যায়। ওই শিক্ষার্থী তার কাছে নৌবাহিনীতে চাকুরির জন্য ৫০ হাজারা টাকা চায়, ওই টাকা দিতে অস্বীকৃতি করায় ওই শিক্ষার্থী রুমের চাবি নিয়ে দৌড় দেয়। পরে ৯-১০ দিন পর ফেসবুকে পোস্ট দেয়। 
ঢাকায় ওই শিক্ষকের সাথে হোটেল কক্ষ শেয়ার করে থাকা গজালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সবুজ হাসান বলেন যে ঘটনা উলে­খ করা হয়েছে, ওই সময় তিনি হোটেলে ছিলেন না। হোটেলের লোকজন তাকে ফোন করে আনে। ওই শিক্ষার্থী ফেসবুকে যেভাবে উলে­খ করেছে ওইসব কথা বলেছে। পরে শুনেছি শিক্ষার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে হোটেলের লোকজন নাকি প্রধান শিক্ষক আল মাহমুদকে লাঞ্ছিত করেছেন। 
হোটেল সাদমান ইন্টারন্যাশনাল (আবাসিক)-এর কর্মকর্তা মোহসিনুর রহমান বলেন, শিক্ষক আল মাহমুদ ওই শিক্ষার্থীকে নিজের মেয়ে পরিচয় দিয়েছিলেন। পরে শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন। আমরা বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানোর কথা বলি। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী নিজে এবং মুঠোফোনে শিক্ষার্থীর মা বিষয়টি থানা পুলিশ না জানাতে অনুরোধ করেণ। এক পর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীর মায়ের কথা অনুযায়ী তাকে নিরাপদে গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। আর ওই শিক্ষককে তাদের কলিগদের জিম্মায় পাঠিয়ে দেওয়া হয।
বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাঃ সাদেকুল ইসলাম বলেন এ বিষয়ে এখনও কোন অভিযোগ আমরা পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ