খুলনা | রবিবার | ২৬ অক্টোবর ২০২৫ | ১১ কার্তিক ১৪৩২

গুলিবিদ্ধ আরও দুই

চট্টগ্রামের রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে বিএনপি নেতা আলমগীর নিহত

খবর প্রতিবেদন |
০১:৫০ এ.এম | ২৬ অক্টোবর ২০২৫


চট্টগ্রামের রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আলমগীর আলম (৫৫) নামে এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। শনিবার বিকেল ৫টার দিকে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কায়কোবাদ আহম্মদ জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রিয়াজ ও আকিব নামে দুইজন যুবদল নেতাও গুলিবিদ্ধ হন। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া।
স্থানীয়রা জানান, নিহত আলমগীর আলম বিএনপি নেতা। তিনি রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব রাউজানের সিদ্দিক চৌধুরী বাড়ির আবদুস সত্তারের ছেলে।
ঘটনা ঘটে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল এলাকার কায়কোবাদ চৌধুরী জামে মসজিদের সামনে। নিহত আলম রাউজান পৌরসভার চৌধুরী বাড়ির আব্দুর রহিমের প্রকাশ সাত্তারের ছেলে। তিনি কোনো রাজনৈতিক পদ-পদবী না থাকলেও মাঝে মাঝে বিএনপি ও যুবদলের স্থানীয় সভা-সমাবেশে উপস্থিত থাকতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চারাবট তল রশিদাপাড়া সংযোগ সড়ক দিয়ে আসার পথে ওৎপেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তার গতিরোধ করে গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় তার দুই সহযোগী মোঃ রিয়াজ ও মোঃ আকিব আহত হয়েছেন।
নিহতের ২৩ বছর বয়সী ছেলে আশফায়েত হোসেন বলেন, শনিবার দুপুরে পরিবারের সবাই মিলে পূর্ব রাউজান রশিদ পাড়ায় ফুফুর বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলাম। বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে কায়কোবাদ আহম্মদ জামে মসজিদের সামনে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি করে আমার বাবাকে হত্যা করে। 
রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন বলেন, “কারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত তা তদন্ত চলছে। নিহত আলমের বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি ও অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আলমগীর নামে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ মরদেহ সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে কে বা কারা গুলি করে পালিয়ে গেছে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
এদিকে বিএনপি নেতা আলমগীর হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার। তিনি বলেন, আলমগীর আওয়ামী শাসনামলে দীর্ঘ ১২ বছর কারাভোগের পর স¤প্রতি কারামুক্ত হয়েছিল। তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে যারা হত্যা করেছে-তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। 

্রিন্ট

আরও সংবদ