খুলনা | সোমবার | ২৭ অক্টোবর ২০২৫ | ১২ কার্তিক ১৪৩২

গুণগত শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনে খুবি’কে এগিয়ে নিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহবান উপাচার্যের

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০১:৫০ এ.এম | ২৭ অক্টোবর ২০২৫


খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র প্রফেসর (গ্রেড-১ ভুক্ত), সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় সিনিয়র প্রফেসর এবং বিকাল সাড়ে ৩টায় সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে পৃথক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। 
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক প্রশাসনিক কার্যক্রম, একাডেমিক অগ্রগতি, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে মুক্ত আলোচনা করা হয়। শিক্ষকবৃন্দ এ ধরনের মতবিনিময় সভা আয়োজনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।
সিনিয়র প্রফেসররা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য অর্জনে অভিজ্ঞতা, আন্তরিকতা ও দক্ষতার সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি। একই সঙ্গে তারা গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, ইন্টারনেট-নেটওয়ার্ক সমস্যার সমাধান, ওবিই কারিকুলামের মানোন্নয়ন এবং শিক্ষকদের রুম সংকট নিরসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। 
সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকরা নবীন শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে আইকিউএসির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদার, বিদেশে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করার ক্ষেত্রে বিদ্যমান বাধ্যবাধকতা শিথিলকরণ এবং ভাইস-চ্যান্সেলর এ্যাওয়ার্ডে নবীন শিক্ষকদের জন্য আলাদা ক্যাটাগরি তৈরির প্রস্তাব করেন।
সভায় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম বলেন, আধুনিক উচ্চশিক্ষা প্রযুক্তিনির্ভর হওয়ায় সব ডিসিপ্লিনে ধাপে ধাপে ল্যাব স্থাপন এবং কম্পিউটার সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। এআই বিষয়ে শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়াতে বিশেষ প্রশিক্ষণ আয়োজনের পরিকল্পনাও রয়েছে। সীমিত সম্পদ থাকা সত্তে¡ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে উল্লেখ করে তিনি কেন্দ্রীয় গবেষণাগার ও আইআইএসএসসিইর বিদ্যমান যন্ত্রপাতির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি আরও বলেন, ইন্টারনেট-নেটওয়ার্ক সমস্যা নিরসন, ডেভেলপমেন্ট ফান্ড শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ব্যয় এবং ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ডে নবীন শিক্ষকদের জন্য আলাদা ক্যাটাগরি তৈরির বিষয়েও তিনি তাগিদ দেন। হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড টেকনোলজি (হিট) প্রকল্পের আওতায় অনুমোদিত ৮টি প্রকল্প এবং বিজনেস ইনকিউবেটর কার্যক্রম খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা ও উদ্ভাবনী গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভায় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান বলেন, শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রেখে স¤প্রতি ২০ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যোগ্যতা বিবেচনা ছাড়া শিক্ষক নিয়োগ শিক্ষার গুণগত মান ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং তা সরাসরি শিক্ষার্থীদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তিনি ওবিই কারিকুলামকে আরও যুগোপযোগী ও সমন্বিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী বলেন, বাজেট কাঠামো ও আর্থিক নীতি অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয়। ইউজিসি অপারেটিং খাতে বাজেট বরাদ্দ দেয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিক বিষয়ে নিয়ম-নীতি মেনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। অর্থনৈতিক সুশাসন বজায় রেখে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কল্যাণমূলক সুবিধা প্রদান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
সভায় আরও বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এস এম মাহবুবুর রহমান, ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. এটিএম জহিরুদ্দিন, এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বশীর আহমেদ, গণিত ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম, ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইসমত কাদির, ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. শেখ মুস্তাফিজুর রহমান ও প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম সরোয়ার।
সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকদের মধ্যে বক্তৃতা করেন ভাস্কর্য ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মোঃ রামিজ আফরোজ শাহী, অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক ফাহমিদা আক্তার অনি, শিক্ষা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক সাদিয়া সুলতানা, ভাস্কর্য ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক রওনক হাসান, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের সাধন চন্দ্র স্বর্ণকার, ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের মোঃ আবুল বাশার, পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের প্রভাষক আব্দুর রহমান এবং রসায়ন ডিসিপ্লিনের প্রভাষক আসিফুর রহমান।
পৃথক মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের সিনিয়র প্রফেসর, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ