খুলনা | সোমবার | ২৭ অক্টোবর ২০২৫ | ১২ কার্তিক ১৪৩২

মন্দ ঋণ অবলোপনে সময়সীমা শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

খবর প্রতিবেদন |
০১:৪৫ পি.এম | ২৭ অক্টোবর ২০২৫

 

মন্দ শ্রেণির খেলাপি ঋণ অবলোপনে ব্যাংকগুলোর জন্য সময়সীমা শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, অবলোপনের কমপক্ষে ৩০ কর্মদিবস আগে সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতাকে লিখিতভাবে নোটিশ পাঠিয়ে বিষয়টি অবহিত করতে হবে।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১৮ ফেব্রুয়ারির পূর্বের নীতিমালা সংশোধন করে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে।

পূর্বের নীতিমালা অনুযায়ী, যেসব ঋণ হিসাব টানা দুই বছর ধরে মন্দ বা ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত ছিল, সেগুলো অবলোপন করা যেত। তবে নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, এখন থেকে যেসব ঋণ মন্দ ও ক্ষতিজনক অবস্থায় রয়েছে এবং ভবিষ্যতে আদায়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ, সেসব ঋণ অবলোপন করা যাবে। এ ক্ষেত্রে কালানুক্রমিকভাবে পুরোনো ঋণগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

সংশোধিত নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, ঋণ অবলোপনের আগে অন্তত ৩০ কর্মদিবস পূর্বে সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতাকে নোটিশ প্রদান বাধ্যতামূলক। কারণ, ঋণ অবলোপনের পরও ঋণগ্রহীতা দায়মুক্ত হন না; বরং সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ না করা পর্যন্ত তিনি খেলাপি হিসেবেই বিবেচিত থাকবেন।

নতুন নির্দেশনায় অবলোপন–সংক্রান্ত অন্যান্য ধারা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মৃত ঋণগ্রহীতার নামে বা তার একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে নেওয়া ঋণ ব্যাংক নিজ বিবেচনায় অবলোপন করতে পারবে। তবে এ ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির উপার্জনক্ষম উত্তরসূরি আছে কি না, তা বিবেচনা করতে হবে। একই সঙ্গে ব্যাংকের নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী অবলোপিত ঋণ আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নগদ প্রণোদনা প্রদানের সুযোগ রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে প্রণোদনা নীতিমালা প্রণয়ন করা যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশোধিত নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, কোনো ঋণ অবলোপনের আগে বন্ধকীকৃত সম্পত্তি বিক্রির সব প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে এবং ঋণ আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে ‘অর্থ ঋণ আদালত আইন ২০০৩’-এর আওতায় মামলাযোগ্য না হলে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ এবং মৃত ব্যক্তির নামে থাকা যে কোনো অঙ্কের ঋণ মামলা ছাড়াই অবলোপন করা যাবে। অবলোপনের আগে ঋণের স্থিতি থেকে স্থগিত সুদ বাদ দিয়ে অবশিষ্ট অর্থের সমপরিমাণ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী কোনো ঋণ আংশিকভাবে অবলোপন করা যাবে না এবং ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ছাড়া কোনো ঋণ অবলোপনের সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আগের তুলনায় এখন ব্যাংক খাতে ডলার সংকট অনেকটা কেটে গেছে এবং রিজার্ভ বেড়েছে। ফলে ব্যাংকগুলোর আর্থিক সক্ষমতা আগের তুলনায় বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে মন্দ ঋণ অবলোপনে শিথিলতা আনা ব্যাংকগুলোর আর্থিক ব্যবস্থাপনা সহজ করবে এবং তাদের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাকে আরও বাস্তবভিত্তিক করবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ