খুলনা | বৃহস্পতিবার | ৩০ অক্টোবর ২০২৫ | ১৪ কার্তিক ১৪৩২

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে হবে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

খবর প্রতিবেদন |
০২:৪১ পি.এম | ২৯ অক্টোবর ২০২৫


জুলাই সনদ রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁকা বুলি নয়; এর অবশ্যই আইনি ভিত্তি থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানান, জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ বাস্তবায়নের সুপারিশের প্রস্তাব-১ বাস্তবায়নে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

তিনি বলেন, জুলাই সনদ রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁকা বুলি ও দলিল নয়। অবশ্যই এর আইনি ভিত্তি থাকতে হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া দেখেই এনসিপি স্বাক্ষরের বিবেচনা করবে-এ কথা আমরা আগেই জানিয়েছি। এনসিপির আপসহীন অবস্থানের ধারাবাহিকতায় গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা সুপারিশ করেছে। আমরা মনে করি, আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতেই এসব সুপারিশ এসেছে। পাশাপাশি কমিশনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টাকে আমরা সাধুবাদ জানাই।

তিনি আরও বলেন, কমিশন দুই ধরনের সংস্কারের জন্য দুটি স্বতন্ত্র বাস্তবায়ন রূপরেখা জমা দিয়েছে। সংবিধান-বহির্ভূত সংস্কারসমূহের ক্ষেত্রে প্রজ্ঞাপন ও খসড়া কমিশনের সুপারিশ সরকারকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। ‘কালবিলম্ব না করে এসব সংস্কার বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে, দাবি করেন তিনি।

এনসিপি নেতা জানান, কমিশনের দেওয়া ৪৮টি সংস্কার প্রস্তাব সংবিধান সংশ্লিষ্ট। এসব প্রস্তাব বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুটি পৃথক খসড়া সুপারিশ করা হয়েছে।

এনসিপির মত, প্রথম খসড়া তথা প্রস্তাব-১ বাস্তবায়নের পথে সরকারকে এগোতে হবে। কারণ এতে উল্লেখ করা হয়েছে-নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংস্কার পরিষদ কাজ সম্পন্ন না করলে পরিষদের গৃহীত খসড়া বিলই আইন হিসেবে কার্যকর হবে।

তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধন বিল আইন আকারে কার্যকর করে গণভোটের ম্যান্ডেট বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতা তৈরিতে এটি অত্যাবশ্যকীয় সুপারিশ। তাই প্রস্তাব-২ নয়, সরকারকে প্রস্তাব-১কেই বাস্তবায়ন রূপরেখা হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।

প্রস্তাব-১-এ কিছু ভাষাগত অস্পষ্টতা রয়েছে উল্লেখ করে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, এগুলো নিরসন করতে হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ-২০২৫ এর প্রথম ঘোষণাটি গ্রহণের মাধ্যমে সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত হবে।

তিনি জানান, সরকার যদি আইনি ভিত্তিসম্পন্ন এই খসড়া আদেশ অনুমোদন করে, তবে সনদ স্বাক্ষর বিষয়ে অগ্রগতি সম্ভব।

উল্লেখ্য, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের ক্ষমতাবলে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ-২০২৫’ জারির প্রস্তাব রয়েছে।

খসড়াগুলোর প্রথমটিতে বলা হয়েছে-আগামী সংসদের সংবিধান সংস্কার পরিষদ ২৭০ দিনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন না করলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তুত করা খসড়া বিলই আইন হিসেবে গণ্য হবে।

দ্বিতীয়টিতে বলা হয়েছে-এই সময়সীমার মধ্যেই পরিষদকে জাতীয় সনদ অনুযায়ী সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ