খুলনা | শুক্রবার | ৩১ অক্টোবর ২০২৫ | ১৫ কার্তিক ১৪৩২

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এলাকাবাসীর সংবাদ সম্মেলন

কলারোয়া সরকারি হাইস্কুল মাঠে তাফসির মাহফিলকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা |
১১:৪৭ পি.এম | ৩০ অক্টোবর ২০২৫


সাতক্ষীরার কলারোয়া সরকারী হাইস্কুল ময়দানে আগামী ২,৩ ও ৪ নভেম্বর তাফসির মাহফিল আয়োজনকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অর্থ আত্মসাৎসহ নানাবিধ অভিযোগে অভিযুক্ত কলারোয়া আলিয়া মাদ্রাসা থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত আরবী প্রভাষক মাওঃ আমিররুল ইসলাম বেলালী এই তাফসির মাহফিল আয়োজন করায় এলাকাবাসীর মধ্যে দারুন ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। 
বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এলাকাবাসীর পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে উক্ত তাফসির মাহফিল বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কলারোয়া উপজেলার তুলশীডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে একরামুল কবীর। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, অর্থ আত্মসাৎসহ নানাবিধ অভিযোগে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কার্যালয় থেকে গত ২০২৪ সালের ২১ এপ্রিল সাতক্ষীরার কলারোয়া আলিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক আমিরুল ইসলাম বেলালীকে চাকুরী থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়।  ১৯৯৫ সালে কলারোয়া প্রি-ক্যাডেট স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালে মাওঃ বেলালী স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সেক্রেটারী ছিলেন। কিন্তু অর্থ আত্মসাৎ, অনিয়ম ও দুর্নীতি ধরা পড়লে তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়। সে সময় তার বিরুদ্ধে ১লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠলে তিনি ৫৮ হাজার টাকার হিসাব দেন। বাকী ৯৮ হাজার টাকা দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করবেন বলে জানালেও আজও পর্যন্ত তা পরিশোধ করেননি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, মাওঃ বেলালী ২০০৯ সালে কলারোয়া হাইস্কুল ফুটবল মাঠে ৩ দিন ব্যাপি তাফসির মাহফিলের আয়োজন করেন। মাহফিলের নামে কলারোয়া ও সাতক্ষীরাসহ সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার ভক্ত আশেকানদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করেন। কিন্তু মাহফিল পরিচালনা সহযোগী মাইক, ডেকোরেটর, ভিডিও ক্যামেরা, প্রজেক্টর ও স্বেচ্চাসেবীদের চুক্তি অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করেননি। মাহফিল পরিচালনার জন্য তিনি বিভিন্ন সময়ে কলারোয়া ইসলামী পাঠাগার, ইসলামী ব্যবসায়ী সমিতি, যুব কল্যান পরিষদ সহ বিভিন্ন ধরনের ভূঁইফোড় সংগঠন তৈরী করেন। মাহফিলের নামে এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীর অভিযোগ রয়েছে। এসব নানাবিধ অভিযোগের কারনে ২০০৭ সালে তিনি জামায়াতে ইসলামীর রোকন ও প্রাথমিক পদ এবং পরে ইসলামী পাঠাগার, ইসলামী ব্যবসায়ী সমিতি থেকে  বহিস্কার হন। ২০১৪ সালে তিনি কলারোয়া থেকে বিতাড়িত হন। 
একরামুল কবীর আরো বলেন, মোটা অংকের অর্থ বানিজ্যের প্রত্যাশায় এবারো আগামী ২,৩ ও ৪ নভেম্বর কলারোয়া হাইস্কুল ফুটবল মাঠে তিন দিন ব্যাপি তাফসির মাহফিলের আয়োজন করেছের বেলালী। কিন্তু মাওঃ আমিরুল ইসলাম বেলালীর দ্বারা লাঞ্চিত, অপমানিত, অর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, হজ্ব কাফেলায় লোক নিয়ে নাজেহাল হওয়া কলারোয়ার শত শত মানুষ তার বিরুদ্ধে ফুঁসে আছে। এ অবস্থায় তার তত্ত¡াবধায়নে আগামী ২,৩ ও ৪ নভেম্বর কলারোয়া সরকারী হাইস্কুল ফুটবল মাঠে তিন ব্যাপি তাফসির মাহফিল অনুষ্ঠান বাস্তবায়নে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।  
তিনি তদন্ত সাপেক্ষে উক্ত তাফসির মাহফিল অনুষ্ঠান বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ