খুলনা মহানগর বিএনপি’র সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা বলেন, ইসলামকে ব্যবহার করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী। যারা ইসলামকে হাতিয়ার বানিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে, যারা নির্বাচনী প্রক্রিয়া বানচাল করতে চায়-তাদের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপি কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালনের লক্ষে মহানগর বিএনপি’র ও অঙ্গ দলের যৌথ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। 
এ সময়ে বক্তারা বলেন, বর্তমান সময়ে একটি গোষ্ঠী সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে। অথচ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। জনগণকে এসব সত্য জানাতে হবে। ভোটাধিকার রক্ষার লড়াইকে ব্যর্থ করতে যে চক্র ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে, তাদের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জনগণের ঐক্যের বিকল্প নেই। 
মহানগর বিএনপি’র নেতারা আরও বলেন, বিএনপি প্রদত্ত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১দফা বাস্তবায়নই পারে দেশের সংকট নিরসনে পথ দেখাতে। তাই প্রতিটি নেতা-কর্মীকে জনগণের কাছে এ দফাগুলো তুলে ধরতে হবে। ৩১ দফা শুধু রাজনৈতিক সংস্কারের প্রতিশ্র“তি নয়, এটি ন্যায়, সমতা ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার ঘোষণাপত্র। যারা ধর্মের নাম ব্যবহার করে বিভাজন সৃষ্টি করছে, তাদের মুখোশ উন্মোচন করাই এখন সময়ের দাবি। সভায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন ও আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
সভায় বক্তৃতা করেন মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী, মাসুদ পারভেজ বাবু ও হাসানুর রশীদ চৌধুরী মিরাজ, থানা সভাপতি কে এম হুমায়ূন কবির, সেখ হাফিজুর রহমান মনি, মুর্শিদ কামাল, বিএনপি নেতা স ম আব্দুর রহমান, আবুল কালাম জিয়া, জামাল উদ্দিন তালুকদার, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, মোঃ হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, শেখ ইমাম হোসেন, আসাদুজ্জামান আসাদ, যুবদলের শেখ আব্দুল আজিজ সুমন, নগর মহিলা দলের সৈয়দা নার্গিস আলী, জাসাসের ইঞ্জিনিয়ার নুর ইসলাম বাচ্চু, কৃষক দলের আখতারুজ্জামান তালুকদার সজীব, স্বেচ্ছাসেবক দলের মুন্তাসির আল মামুন, তাঁতীদলের আবু সাঈদ শেখ, ওলামা দলের মাওলানা মোঃ আবু নাঈম কাজী, আঞ্চলিক শ্রমিক দলের দ্বীন মুহাম্মদ, যুবদলের রবিউল ইসলাম রুবেল, মহিলা দলের আর.এফ. হাসনা হেনা, জাসাসের কেএম এ জলিল, কৃষক দলের শেখ আদনান ইসলাম দীপ, আঞ্চলিক শ্রমিক দলে আলমগীর তালুকদার, নগর বিএনপি’র মিডিয়া সেলের রকিবুল ইসলাম মতি, ইয়াসির আরাফাত রুমি, থানা সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির ইকবাল বাপ্পী, মোঃ নাসির উদ্দিন, ইফতেখার হোসেন বাবু, শেখ মনিরুজ্জামান মনির, মাসুদউল হক হারুন, মোল্লা মশিউর রহমান, মোঃ শফিকুল ইসলাম, গাজী আফসার উদ্দিন, এস এম নুরুল আলম দিপু, শেখ মোস্তফা কামাল, আজিজুর রহমান, শেখ হাবিবুর রহমান, কাজী নজরুল ইসলাম, মোঃ মাহমুদ আলম বাবু মোড়ল, লিটন খান, এড. কাজী সামীম, সৈয়দ হাসান উল্লাহ, মোঃ জাহাঙ্গীর শেখ, মোঃ জাহিদুল হোসেন, হায়দার আলী তরফদার, মোঃ বেলায়েত হোসেন, লিয়াকাত হোসেন লাভলু, মোঃ খবির উদ্দিন, মোঃ জয়নাল আবেদিন, ইকবাল হোসেন মিজান, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, মোঃ বায়েজিদ, মঞ্জুরুল আলম, মোঃ নাজমুস সাকিব, মোঃ সওগাতুল আলম ছগীর, মোঃ আমিন আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, মোঃ ওহিদুজ্জামান হাওলাদার, কাজী মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ আবুল ওয়ারা, মোঃ কামরুজ্জামান রুনু, মোঃ আরিফুল ইসলাম বিপ্লব, শেখ জাকির হোসেন, মোঃ সবুজ হোসেন, মোঃ গোলাম মোস্তফা ভুট্টো, মিশকাত আলী, এ এম  মাসুম বিল্লাহ,  শেখ নুরুল ইসলাম, গাজী সালাউদ্দীন, সৈয়দ মইনুল ইসালাম, মোঃ আরমান হোসেন, খন্দকার ইকবাল কবীর, শেখ আনসার আলী, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মীর শওকত হোসেন হিট্টু, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন খোকা, মোঃ মুরাদ হোসেন, শেখ মেহেদী হাসান লিটন, মোঃ ইয়াছিন মোল্লা, আব্দুল কাদের মল্লিক, শেখ মনিরুল ইসলাম, মোঃ বক্কর মীর, মোঃ আসমত আলী, মোঃ হালিম শেখ, মোঃ আব্দুল হাই কালু, মোঃ বাচ্চু শেখ, মোঃ সাইদুজ্জামান জুয়েল, শেখ মোঃ কবির হোসেন টিটো ও মোঃ মুরাদ হোসেন প্রমুখ। সভায় ৭ নভেম্বর বিপ্লুুুুুুুুুুুুুব ও সংহতি দিবস পালনে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।