খুলনা | শনিবার | ০১ নভেম্বর ২০২৫ | ১৬ কার্তিক ১৪৩২

১০ মাসে ঝটিকা মিছিল থেকে আ.লীগের তিন হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার

খবর প্রতিবেদন |
০৭:০২ পি.এম | ৩১ অক্টোবর ২০২৫


ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ কার্যত ছন্নছাড়া অবস্থায় রয়েছে। দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় কোথাও নেই তাদের উপস্থিতি। তবে দেশের প্রাচীন এই দলটি ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দেওয়ার চেষ্টায় মরিয়া। এই ঝটিকা মিছিল করতে গিয়েও জনরোষ কিংবা পুলিশের গ্রেফতারের মুখে পড়ছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। চলতি বছরের প্রথম দশ মাসে (জানুয়ারি-অক্টোবর) শুধু রাজধানীতেই দলটির প্রায় তিন হাজার নেতাকর্মী ঝটিকা মিছিল করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির মুখপাত্র বলেন, চলতি বছরের আজকের দিন পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অবশ্যই মিছিলে যারা সরাসরি মিছিলে অংশগ্রহণ করেছে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ডিএমপি কর্মকর্তা বলেন, আমরা যাদের গ্রেফতার করেছি তারাসহ ইতোপূর্বে ঢাকার বাইরে থেকে অনেকেই এসে ঝটিকা মিছিল অংশগ্রহণ করছে। এটার পেছনে অনেকে অর্থায়ন করছে এবং প্রত্যেকটা মিছিলে অংশগ্রহণের জন্য একটা সুনির্দিষ্ট টাকার পরিমাণও তাদের দেওয়া হচ্ছে। মূলত তাদের যে অবস্থানটা সেটা জানান দেওয়া এবং ঢাকা মহানগরীর জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার একটা অপচেষ্টা এবং যেকোনো মূল্যে ঢাকায় তাদের যে অবস্থাটা সেটা প্রকাশ করানো। মিছিলের ছবি এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া এবং তাদের যে তৎপরতা আছে তারা সক্রিয় রয়েছে, সেটা জানান দেওয়াই এটার উদ্দেশ্য।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একদিনে ২৪৪ জন আরেক দিন ১৩১ জনকে আমরা গ্রেফতার করেছি। মিছিলগুলো থেকে ককটেল বিস্ফোরণ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার একটা অপচেষ্টা করা হয়। অনেককেই আমরা ককটেলসহ গ্রেফতার করেছি। তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা। তারা যে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে এ ব্যাপারে আমরা সতর্ক রয়েছি। আর যারা ঢাকার বাইরে আসছে সে বিষয়ে আমরা অবশ্যই নজরদারি রাখছি। আমাদের নজরদারি এবং তৎপরতার কারণেই এই যে গ্রেফতারগুলো সেটা সম্ভব হচ্ছে।

মিছিলে অংশ নিলে কী পরিমাণ টাকা পায় এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির মুখপাত্র বলেন, ঢাকার বাইরে থেকে ঢাকায় আসা-যাওয়ার খরচ, থাকা-খাওয়ার বাইরে তার একটা নির্দিষ্ট টাকা না হলে তো সে আসবে না। তো এই ক্ষেত্রে অনেকে আমরা অনেকের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ তথ্য পেয়েছি। তাদেরকে মোটিভেট করার জন্য বিভিন্নভাবে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো আমরা মাথায় রাখছি এবং যারা এই প্রণোদনাগুলো দিচ্ছেন, যারা আর্থিকভাবে সহায়তা করছেন, তাদেরও আইনের আওতায় আনতে আমরা কাজ করছি।

এটাকে গণগ্রেফতার বলা যায় কি না সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা গণগ্রেফতার বলা যাবে না। আমরা শুধু ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া এবং তাৎক্ষণিকভাবে অপরাধে জড়িতদের গ্রেফতার করছি। যাচাই-বাছাইয়ের পর অভিযোগ প্রমাণ হলেই মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হচ্ছে।

নির্বাচন ঘনিয়ে এলে দলটির তৎপরতা আরও বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা সত্ত্বেও নগরবাসীকে অভয় দেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ডিএমপি যেকোনো অপতৎপরতা রুখে দেওয়ার সক্ষমতা রাখে।

্রিন্ট

আরও সংবদ