খুলনা | শনিবার | ০১ নভেম্বর ২০২৫ | ১৭ কার্তিক ১৪৩২

বাংলাদেশকে ধবলধোলাই করে সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ক্রীড়া প্রতিবেদক |
১০:৫৪ পি.এম | ৩১ অক্টোবর ২০২৫


ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ খুইয়েছিল বাংলাদেশ। তাই তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ছিল মান বাঁচানোর লড়াই। এখানেও ব্যর্থ লিটন দাসের দল। ব্যাটিং-বোলিং কোনো বিভাগেই নূন্যতম লড়াইটুকুও করতে পারেনি টাইগাররা। ৫ উইকেটের জয়ে বাংলাদেশকে ধবলধোলাই করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চট্টগ্রামের মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ১৫১ রানের সংগ্রহ গড়ে লাল-সবুজের দল। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রোস্টন চেজ ও আকিম অগাস্তের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১৯ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় ক্যারিবীয়রা।

বাংলাদেশের দেওয়া ১৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা। দলীয় ৬ রানে আউট হন আলিক আথানেজ। শেখ মেহেদির বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরেন তিনি। এরপর দলীয় ৩৭ রানে আউট হন ব্র্যান্ডন কিং। ফেরার আগে তিনি করেন ৮ রান।

২৩ বলে ৩৪ রান করে আউট হন আরেক ওপেনার আমির জাঙ্গুও। তবে ক্যারিবীয়দের দ্রুতই জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দেন চেজ ও অগস্তে। এ দুজন মিলে চতুর্থ উইকেটে গড়েন ৪৬ বলে ৯১ রানের জুটি। দুজনই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। তবে ব্যক্তিগত অর্ধশতকের পর কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৯ বলে ৫০ করে ফিরেন চেজ, অগাস্তে ২৫ বলে ৫০ করে ধরেন সাজঘরের পথ। তবে এ দুজন ফিরলেও ১৯ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের সহজ জয়ে টাইগারদের হোয়াইটওয়াশ করে সিরিজ জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে বরাবরের মতোই ব্যর্থ হন টাইগার ব্যাটাররা। আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ শেষ ৫ ওভারে ৪২ রান তুলতে ৭ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টি-টুয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করেন রোমারিও শেফার্ড।

দলকে লড়াই করার মতো সংগ্রহ এনে দিতে একাই লড়াই চালান তানজিদ। দুটি জীবন পাওয়া এই ওপেনার ছিলেন সেঞ্চুরির পথেও। কিন্তু তার ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৬২ বলের ইনিংসটি থামে ৮৯ রান। এছাড়া দলের হয়ে দুই অঙ্কের দেখা পান কেবল সাইফ হাসান। চার নম্বরে নেমে এদিন তিনি ফেরেন ২২ বলে ২৩ রান করে।

আগ্রাসী শুরুর ইঙ্গিত দিলেও বেশি দূর যেতে পারেনি উদ্বোধনী জুটি। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে সহজ ক্যাচ দিয়ে একাদশে ফেরা পারভেজ হোসেন ইমনের (৯) বিদায়ে ভাঙে ২২ রানের জুটিটি। বেশিক্ষণ টেকেননি লিটন দাসও। খ্যারি পিয়ারের করা প্রথম ওভারেই ডিপ মিডউইকেটে ৯ বলে ৬ রান করে ক্যাচ দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

এরপর দলের হাল ধরতে তানজিদকে কেবল সহায়তা করেন সাইফ। ৩৬ বলে ক্যারিয়ারের দশম ফিফটি তুলে নেন তানজিদ। তৃতীয় উইকেটে এই দুই ব্যাটার দলের খাতায় যোগ করেন ৬৩ রান। সাইফকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন জেসন হোল্ডার। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে পাঁচ নম্বরে নেমে ৩ রান করে ফেরেন রিশাদ হোসেন। পরের ওভারের শেষ বলে নুরুল হাসান সোহানকে তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের প্রথম উইকেটটি নেন শেফার্ড।

জাকের আলীর আগে নামা নাসুম আহমেদও (১) ফেরেন দ্রুত। বিশেষজ্ঞ ব্যাটার হিসেবে খেলা জাকের আট নম্বরে নেমে সাজঘরের পথ দেখেন ৩ বলে ৫ রান করে। শেষ ওভারে সেঞ্চুরি পূর্ণ করার জন্য তানজিদের দরকার ছিল ১১ রান। কিন্তু শেফার্ডের করা প্রথম বলেই মিড-অফে হোল্ডারের হাতে সহজ ক্যাচ দেন তিনি। পরের বলে শরিফুল ইসলামকে বোল্ড করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন শেফার্ড। ডানহাতি এই পেসারের শিকার ৩ উইকেট।

্রিন্ট

আরও সংবদ