বাগেরহাটে দিন-দুপুরে প্রকাশ্যে অস্ত্র ঠেকিয়ে মোঃ মামুন মলি¬ক নামের এক ঘের মালিকের মাছ লুটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শনিবার  ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষি বাগেরহাট সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত মোঃ মামুন মলি­¬ক রামপাল উপজেলার দক্ষিণ সন্নাসী গ্রামের আফছার মলি¬কের ছেলে।
মোঃ মামুন মলি¬ক জানান, গেল বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে তিনটি কাটা ড্রামে নিজ ঘেরের গলদা, রুই, কাতলা, চিত্রা, মিনারকার্প ও তেলাপিয়া মাছ, পাতাড়ি মাছ ইজিবাইকে করে বিক্রির জন্য বারাকপুর বাজারে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে পিসি ডেমা এলাকার মলি­ক বাড়ির কিছুটা সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছালে পূর্ব শুত্র“তার জেরে মাদারদিয়া গ্রামের বেদার হাওলাদার, জুয়েল শেখ, মলি¬কেরবেড় গ্রামের ডালি, শাওন শেখ, রুবেল হাওলাদার, সাজারুল ইসলাম সাজু, সন্ন্যাসী গ্রামের রফিকুল ইসলাম রাকিব, শামিম হাসান পলক, গাউস হাওলাদার, সোহাগ হাওলাদারসহ আরও ৪-৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে  ইজিবাইকের গতিরোধ করে। শামিম হাসান পলকের হুকুমে সবাই মিলে ওই ব্যবসায়ীকে টেনে হিচড়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে কিল, ঘুষি মারে এবং খুন করো লাশ গুম করার হুমকি প্রদান করে। ভয়ে ইজিবাইক ও মাছ ফেলে রেখে পাশের এক বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করেন মামুন মলি¬ক। হামলাকারীরা তার ৫০ হাজার টাকার মাছ নিয়ে যায় বলে দাবি ওই ব্যবসায়ীর।
তিনি আরও জানান পরে ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাছের খোঁজে বারাকপুরে এসে দেখেন হামলাকারীরা বারাকপুর সোনার বাংলা মৎস্য আড়তে ছিনিয়ে নেওয়া মাছ বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। বিষয়টি বারাকপুর মাছ বাজার সভাপতি রফিকুল হাওলাদারকে জানান তিনি। তখন বাজারের সভাপতি মাছ বিক্রির ৩২ হাজার ৮৫০ টাকা সোনার বাংলা মৎস্য আড়তদারের নিকট গচ্ছিত রাখে।
এছাড়া স্থানীয় লোকজনদের মাধ্যমে তিনি জানেন হামলাকারীরা মামুন মলি¬কের কিছু মাছ অন্যত্র কোথাও বিক্রি করেছে। ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন এই ব্যবসায়ী। বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাহমুদ-উল-হাসান বলেন, মাছ ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ছিনতাইয়ের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।