খুলনা | রবিবার | ০২ নভেম্বর ২০২৫ | ১৮ কার্তিক ১৪৩২

খুলনা প্রেসক্লাবের বরাদ্দের ব্যাপারে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার নির্দেশনার বিরোধিতাকারী কেসিসি কর্মকর্তা হাফিজের বক্তব্যের নিন্দা

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০১:৩৫ এ.এম | ০২ নভেম্বর ২০২৫


স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কর্তৃক খুলনা প্রেসক্লাবের জন্য বিশেষ বরাদ্দের ব্যাপারে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান কর নির্ধারক শেখ হাফিজুর রহমানের বিষোদগার ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন খুলনা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ। 
স¤প্রতি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাধারণ সভায় তিনি তার বক্তব্যে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার ক্ষতিগ্রস্ত খুলনা প্রেসক্লাবের জন্য বরাদ্দের নির্দেশনার তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং প্রশাসকের কাছে জানতে চান কেন খুলনা প্রেসক্লাবকে এই বরাদ্দ দিতে হবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সরাসরি অধীনস্থ সংস্থার একজন কর্মকর্তা হয়ে উপদেষ্টার নির্দেশনার বিরোধিতা করা চরম ফ্যাসিবাদী চরিত্রেরই বহিঃপ্রকাশ। অবিলম্বে তার বক্তব্য প্রত্যাহার এবং তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কেসিসি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান নেতৃবৃন্দ। অন্যথায় খুলনার সাংবাদিক সমাজ এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিতে বাধ্য হবেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন খুলনা প্রেসক্লাবের আহবায়ক এনামুল হক, সদস্য সচিব রফিউল ইসলাম টুটুল, কার্যনির্বাহী সদস্য শেখ দিদারুল আলম, মোঃ মিজানুর রহমান মিলটন, কৌশিক দে, আহমদ মুসা রঞ্জু ও আশরাফুল ইসলাম নূর। 
উল্লেখ্য ২০২৪ সালের ৪ ও ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় প্রেসক্লাবটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ভবনটি ভেঙ্গে একই জায়গায় একটি বহুতল মাল্টিপারপাস ভবন নির্মাণের জন্য বিধিমোতাবেক সরকারের কাছে আবেদন করে খুলনা প্রেসক্লাব। এর প্রেক্ষিতে উন্নয়নের জন্য খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে আট কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। সরকারি এ টাকা খুলনা প্রেসক্লাবের নামে বরাদ্দ হওয়ার পর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান কর নির্ধারক শেখ হাফিজুর রহমান কেন প্রেসক্লাবের উন্নয়নের বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন তা খুলনার সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও ঐ কর্মকর্তা অবসর গ্রহণের পরও সকল নিয়মনীতি উপেক্ষা করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে এখনো অফিস করে যাচ্ছেন,যা রীতিমত বিস্ময়কর।
দীর্ঘদিন ধরে খুলনা সিটি কর্পোরেশন ও খুলনা প্রেসক্লাবের মধ্যে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান। তাই উভয়পক্ষেরই কোনো ব্যক্তি বিশেষের কারণে এ সম্পর্ক নস্যাৎ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অবিলম্বে বিষয়টি তদন্ত করে উক্ত কর্মকর্তার ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানিয়েছেন খুলনা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ