খুলনা | সোমবার | ০৩ নভেম্বর ২০২৫ | ১৯ কার্তিক ১৪৩২

নগরীতে বিএনপি নেতার অফিসে গুলি-বোমা হামলা, শিক্ষক নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক ও খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি |
১০:৪৫ পি.এম | ০২ নভেম্বর ২০২৫


নগরীতে বিএনপি নেতার অফিসে সন্ত্রাসীদের গুলি ও বোমা হামলায় ইমদাদুল হক নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন। রোববার রাত ৯টার দিকে কুয়েট রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইমদাদুল বছিতলা নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক। এর আগে তিনি ইউসুফ স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। 
আহতরা হলেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মামুন শেখ (৪৫), বেল­াল খান (৫৫) ও মিজানুর রহমান (৫৮)। এর মধ্যে মামুন ও বেল­ালকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, বিএনপি নেতা ও ইউপি সদস্য মামুন স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে তার অফিসে বসে ছিলেন। এ সময় সাবেক শিক্ষক ইমদাদুল হকসহ কয়েকজন মাহফিলের সহযোগিতার জন্য ওই অফিসে ইউপি সদস্য মামুন শেখের কাছে যান। রাত ৯টার দিকে মোটরসাইকেলে করে সন্ত্রাসীরা এসে অফিস লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় তারা গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমদাদুল হককে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
নিহতের ছেলে অনিক বলেন, মাহফিলের টাকা সংগ্রহে গিয়ে আমার বাবা মারা গেছেন। তিনি এলাকার মধ্যে সবচেয়ে ভালো মানুষ ছিলেন। আব্বুর স্বপ্ন ছিল আমি ডাক্তার হবো।
খানজাহান আলী থানা বিএনপি’র সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান বলেন, যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনকে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, সন্ত্রাসীদের গুলিতে ও বোমা হামলায় ৩ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। অভিযুক্তদের এখনো সনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ কাজ করছে।
খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ তুহিনুজ্জামান বলেন, রাতে হামলার ঘটনায় এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামুন ও মিজান নামে দু’জন আহত হয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত চলছে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

্রিন্ট

আরও সংবদ