খুলনা | মঙ্গলবার | ০৪ নভেম্বর ২০২৫ | ১৯ কার্তিক ১৪৩২

স্ত্রী-কন্যাসহ লোটাস কামালের আয়কর নথি জব্দ

খবর প্রতিবেদন |
০৪:০৩ পি.এম | ০৩ নভেম্বর ২০২৫


সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল, তার স্ত্রী কাশমিরি কামাল এবং মেয়ে কাশফি কামাল ও নাফিসা কামালের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার (০৩ নভেম্বর) দুদকের পৃথক চারটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ এই আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক তানজিল আহমেদ এই তথ্য জানিয়েছেন।

প্রথম আবেদনে বলা হয়, আসামি আ হ ম মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন, ভোগদখল এবং নামীয় ৩২টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহভাজন অর্থ লেনদেন করে তা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের অভিযোগে তদন্ত চলছে।

কাশমিরি কামালের বিরুদ্ধে করা আবেদনে বলা হয়, স্বামী লোটাস কামাল অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী থাকাকালে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্জিত ৪৪ কোটি ১১ লাখ টাকা বৈধ করার লক্ষ্যে স্ত্রীর নামে অর্জন এবং ভোগ দখলে রেখে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেছেন কাশমিরি। এছাড়া ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে সেই প্রতিষ্ঠান এবং নিজ নামের ২০টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে মোট ২৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকার মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে।

আরেকটি আবেদন বলা হয়েছে, লোটাস কামাল মন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্জিত ৩১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা বৈধ করার লক্ষ্যে কন্যা কাশফি কামালের নামে অর্জন এবং নিজ ভোগ দখলে রেখে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেছেন। এছাড়া ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে সেই প্রতিষ্ঠান এবং নিজ নামে মোট ৩৮টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ১৭৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকার সন্দেহজনক অসংখ্য লেনদেনের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে।

নাফিসা কামালের আবেদন বলা হয়েছে, বাবা লোটাস মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্জিত ৬২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বৈধ করার লক্ষ্যে নাফিসার নামে অর্জন এবং নিজ ভোগ দখলে রেখে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেছেন। এছাড়া তিনিও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে সেই প্রতিষ্ঠান এবং নিজ নামে মোট ১৮টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ১৯৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা জমা এবং উত্তোলনের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। এসব অভিযোগের বিষয়ও তদন্তাধীন রয়েছে।

আবেদনগুলোতে আরো বলা হয়, মামলাগুলোর সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের আয়কর নথির স্থায়ী অংশ, বিবিধ অংশ ও অ্যাসেসমেন্ট প্রতিবেদন (যদি থাকে) ও নোটসিটসহ সংশ্লিষ্ট যাবতীয় রেকর্ডপত্র/তথ্যাদি এবং অফিস আদেশের অংশ সংগ্রহপূর্বক পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।

্রিন্ট

আরও সংবদ