খুলনা | বৃহস্পতিবার | ০৬ নভেম্বর ২০২৫ | ২২ কার্তিক ১৪৩২

বিএনপি নেতা হত্যা প্রচেষ্টা ও স্কুল শিক্ষক এমদাদুল হত্যার প্রতিবাদ

হামলাকারী এবং হত্যাকারীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি : এড. মনা

খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি |
০২:৩৩ এ.এম | ০৬ নভেম্বর ২০২৫


মহানগর বিএনপি’র সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, ‘বর্তমান প্রশাসন সম্পুন্ন রূপে দায়সারা দায়িত্ব পালন করছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তায় সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এখন বাড়ি থেকে বের হলে বাড়িতে ফেরার আর নিশ্চয়তা থাকে না। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে বর্তমান প্রশাসন সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। 
গতকাল বিকেলে ল্যাবরেটরি স্কুল মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। যোগিপোল ইউনিয়ন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি সদস্য মোঃ মামুন শেখের দলীয় কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া বোমা ও গুলিতে স্কুল শিক্ষক মোঃ এমদাদুল হক নিহত এবং বিএনপি নেতা ইউপি সদস্য মোঃ মামুন শেখ, বেল্লাল খান ও শেখ মিজানুর রহমান আহতের ঘটনায় হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবিতে খানজাহান আলী থানা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এড. মনা আরও বলেন, বিএনপি নেতা মামুন শেখের উপর হামলাকারী এবং এই হামলায় নিহত শিক্ষক ইমদাদুল হকের হত্যাকারীদের আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসুচি ঘোষনা করা হবে। প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্টের সময় সরকারি এই বাহিনী বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের অসুস্থ মায়ের কোল থেকে, খাবারের প্লেট ফেলে দিয়ে বিনাকারনে গ্রেফতার করেছে অথচ এখন সেই প্রশাসনই খুনি হত্যাকারীদের খুঁজে পায় না। আগামী নির্বাচনের পর নির্বাচিত সরকার দায়িত্বে আসলে এ সকল কর্মকান্ডের জবাব দেয়া হবে।
প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী।
খানজাহান আলী থানা বিএনপি’র সভাপতি কাজী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাসের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তৃতা করেন আটরা-গিলাতলা ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি শেখ আব্দুস সালাম, যোগিপোল ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি শেখ আলমগীর হোসেন, কেসিসি ২নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি ইকবাল হোসেন মিজান, যোগিপোল ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মীর শওকত হোসেন হিট্টু, আটরা-গিলাতলা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন খোকা, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আনোয়ার হোসেন, কেসিসি ২নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, থানা শ্রমিক দলের সভাপতি কাজী শহিদুল ইসলাম, বিএনপি নেতা এনামুল হাসান ডায়মন্ড। প্রতিবাদ সমাবেশে থানা বিএনপি নেতা হেলাল শরিফ, আব্দুল হাই রুমি সিকদার, আতাউর রহমান মোড়ল, শরিফ ওবায়দুর রহমান চয়ন, আলামিন হাওলাদার, রাসেল, মেহেদী হাসান বাপ্পি, থানা ছাত্রদল নেতা সিয়াম হোসেন, শ্রমিক দল নেতা জিহাদুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, মাসুম বিল্লাহ, রবিউল ইসলাম, মহিলা দলের চমন আরা, সাবিনা ইয়াছমিন, শফিকুল ইসলাম শফিক, হাফিজুর রহমান, আল মামুন খান, হাবু ও সবুজ হাওলাদার প্রমুখ।
উল্লেখ্য গত ২ নভেম্বর রবিবার রাত আনুমানিক ৯টার যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মোঃ মামুন শেখ (৪৫) আড়ংঘাটা থানাধীন কুয়েট রোডস্থ আইটি গেটস্থ খানাবাড়ী তার দলীয় কার্যালয়ে সন্ত্রাসীরা বোমা হামলা চালিয়ে ও গুলিবর্ষণ করে। হামলায় তেলিগাতী বুচিতলা নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ ইমদাদুল হক নিহত হন। ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও ইউপি সদস্য মোঃ মামুন শেখ, বিল্লাল হোসেন (৩৫) ও মিজানুর রহমান মিজান (৪৮) গুরুতর আহত হন।

্রিন্ট

আরও সংবদ