খুলনা | রবিবার | ০৯ নভেম্বর ২০২৫ | ২৪ কার্তিক ১৪৩২

আবরারের ঘূর্ণিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সিরিজ জিতল পাকিস্তান

ক্রীড়া প্রতিবেদক |
১২:০১ এ.এম | ০৯ নভেম্বর ২০২৫


ফয়সালাবাদের ধীরগতির ও নিচু বাউন্সের উইকেটে আবরার আহমেদের ঘূর্ণিঝড়ে টিকতে পারল না দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে পাকিস্তানি স্পিনারদের তোপে মাত্র ১৪৩ রানে অলআউট হয় প্রোটিয়ারা, ফলে সিরিজটি নিজেদের করে নেয় স্বাগতিকরা। টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ম্যাথিউ ব্রিটজকে। বড় ম্যাচে শুরুটা দারুণই করেছিলেন তারা। কুইন্টন ডি কক ও লুয়ান-দ্রে প্রিটোরিয়াস জুটি গড়ে তোলেন ৭২ রানের উদ্বোধনী জুটি। কিন্তু এরপরই শুরু হয় ভয়াবহ ধস, শেষ আট উইকেট মাত্র ৩৭ রানে হারায় দলটি।

এই ধসের নায়ক ছিলেন পাকিস্তানের আবরার, যিনি ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার ৪ উইকেটে ২৭ রান নিয়ে গুঁড়িয়ে দেন প্রোটিয়াদের মিডল ও লোয়ার অর্ডার। শুরুর দিকে পাকিস্তান একটু রক্ষণাত্মক কৌশল নেয়। নতুন বলে আক্রমণ শুরু করেন সাঈম আয়ুব ও শাহিন শাহ আফ্রিদি। প্রথম চার ওভারেই তারা দেন মাত্র ১০ রান। পঞ্চম ওভারে শাহিনের ব্যাক-অফ-দ্য-হ্যান্ড স্লোয়ার বল দেখে ফেলেন ডি কক, তুলে মারেন বোলারের মাথার ওপর দিয়ে চার। পরের বলেই গতি বাড়ান শাহিন, কিন্তু এবারও একই ফল- সোজা ড্রাইভে আরেকটি চার।

নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলে ফেরা হারিস রউফ সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রায় উইকেট পেয়ে যাচ্ছিলেন। প্রিটোরিয়াসের ব্যাটে বল লেগে প্রথম স্লিপে গেলেও সেখানে ফিল্ডার না থাকায় চার হয়ে যায়। পরের ওভারেই আবার রউফকে পরপর দুই চারে চেপে ধরেন প্রিটোরিয়াস। অবশেষে ১৫তম ওভারে আঘা সালমান ভাঙেন এই জুটি- লং-অফে ক্যাচ তুলে দেন প্রিটোরিয়াস (৩৯)। কিছুক্ষণ পরই টনি ডি জরজি সহজ ক্যাচ দিয়ে আঘারই শিকার হন।

ডি কক অবশ্য লড়াই চালিয়ে যান কিছুক্ষণ। এদিনই তিনি পেরিয়ে যান ৭০০০ ওয়ানডে রানের মাইলফলক, যা তিনি ছুঁয়েছেন মাত্র ১৫৮ ইনিংসে- দেশের তারকা হাশিম আমলার পর দ্বিতীয় দ্রুততম হিসেবে। মোহাম্মদ নওয়াজের বলে রিভার্স সুইপে চার মেরে ফিফটি পূর্ণ করেন ডি কক, কিন্তু দুই বল পরেই সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন।

এরপরই শুরু হয় আবরারের জাদু। মাত্র দুই ওভারে তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে ভেঙে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার মিডল অর্ডার। ডেবিউ করা রুবিন হারম্যান প্রথম শিকার- গুগলি বুঝতে না পেরে বোল্ড। এরপর ডোনোভান ফেরেইরা সুইপ করতে গিয়ে বল মিস করেন, সরাসরি লাগে লেগ স্টাম্পে। পরের বলেই করবিন বোশ নিচু বাউন্সে বিভ্রান্ত হয়ে গোল্ডেন ডাক।

হ্যাটট্রিক না পেলেও শেষ ওভারে অধিনায়ক ব্রিটজকেকে ক্যাচ করিয়ে ইনিংস শেষের রাস্তা সহজ করে দেন আব্রার। শেষদিকে কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার নিচের সারির ব্যাটাররা। কিন্তু শাহিন আফ্রিদি ৩৮তম ওভারে পরপর দুই বলে দুই উইকেট তুলে নিয়ে সবকিছুর ইতি টানেন। ফয়সালাবাদের ধীর পিচে পাকিস্তানি স্পিনারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের জবাব দিতে না পেরে সিরিজ হারতে হলো প্রোটিয়াদের, আর দারুণ এক জয় দিয়ে উদযাপন করল পাকিস্তান।

্রিন্ট

আরও সংবদ