খুলনা | মঙ্গলবার | ১১ নভেম্বর ২০২৫ | ২৬ কার্তিক ১৪৩২

পুরান ঢাকায় গুলিতে নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

খবর প্রতিবেদন |
০২:৪৪ পি.এম | ১০ নভেম্বর ২০২৫


পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সকালে দুর্বৃত্তদের গুলিতে তারিক সাইফ মামুন (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী।

আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।  মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে জানা যায়, মামুনের বাবার নাম এস এম ইকবাল। তাঁর বাড়ি লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার মোবারক কলোনি এলাকায়।

ওই ব্যক্তি পেশায় ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছেন তাঁর স্ত্রী। তবে পুলিশ বলছে, ওই ব্যক্তি চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (লালবাগ বিভাগ) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী বলেন, ‘গুলিতে নিহত ব্যক্তিটি শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন। তিনি কোনো ব্যবসায়ী নন। তিনি ইমন-মামুন গ্রুপের মামুন।’

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ঢালিউড নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা এবং সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ভাই সাইদ আহমেদ টিপু হত্যা মামলায় ঢাকার আন্ডাগ্রাউন্ড সন্ত্রাসী গ্রুপ ইমন-মামুন জড়িত। এই গ্রুপের ইমন বর্তমানে পলাতক। মামুন আজ মামলায় হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন।

‎ঘটনার বিবরণ দিয়ে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেলের ওয়ার্ড মাস্টার মহিবুল্লাহ বলেন, আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের সামনে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। শব্দ শুনে হাসপাতালের মেইন গেটের সামনের এসে ওই ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। তবে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।

‎এদিকে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করে মামুনের খালাতো ভাই হাফিজ বলেন, আমার ভাই তারিক সাঈদ মামুন একজন সাধারণ মানুষ। কী কারণে তাকে হত্যা করা হলো আমি জানি না। সে কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। ‎কারা তাকে হত্যা করেছে, কী কারণে করেছে আমার জানা নেই।‎

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক হাসপাতালে আনার পর মৃত ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

ঢামেকে মামুনের স্ত্রী দিপা জানান, মিরপুরে মামুনের গার্মেন্টস ব্যবসা রয়েছে। দুই মেয়েকে নিয়ে আফতাবনগরের এফ ব্লকে থাকেন তাঁরা। তিনি আরও জানান, দুই দিন পর আজ সকাল ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন মামুন। জজকোর্টে একটি মামলার হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন। এরপরই ফোনে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে।

দীপা বলেন, ‘কারা আমার স্বামীকে খুন করছে জানি না।’ এ সময় ‘ইমন’ নামে এক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইমন ছাড়া কেউ এই কাজ করে নাই। কয়েকদিন আগে ইমনই লোক দিয়ে মামুনকে মারধর করেছিল।’

তবে ইমনের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলতে তাৎক্ষণিকভাবে রাজি হননি দীপা।

‎এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সকাল ১০টা ৫২ মিনিট। ন্যাশনাল হাসপাতালের গেইটে লোকজনের স্বাভাবিক আনাগোনা। ১০টা ৫৩ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে হঠাৎ সাদা চেক শার্ট পরিহিত একজন হাসপাতালের দিকে দৌড়ে ঢুকছিলেন। পেছন থেকে মুখে মাস্ক ও ক্যাপ পরিহিত দুজন প্রকাশ্যে গুলি করতে করতে হাসপাতালের ভেতর চলে আসেন। মাত্র ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ডে কয়েক রাউন্ড গুলি করে তারা মুহূর্তেই চলে যান। এ ঘটনার পর আশপাশের লোকজন এদিক-সেদিক ছোটাছুটি শুরু করেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ