খুলনা | বুধবার | ১২ নভেম্বর ২০২৫ | ২৮ কার্তিক ১৪৩২

রাজধানীর গুলশান, মোহাম্মদপুরে আট ঘণ্টার ব্যবধানে ছাত্রদলের দুই নেতার লাশ উদ্ধার

খবর প্রতিবেদন |
০১:১৫ এ.এম | ১২ নভেম্বর ২০২৫


রাজধানীতে আট ঘণ্টার ব্যবধানে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দুই নেতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। একটি গুলশানে, অন্যটি মোহাম্মদপুরে। নিহতদের একজন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য সৌরভ এবং অন্যজন মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক সাব্বির আহমেদ।
পরিবারের অভিযোগ, বিএনপি’র গুলশান অফিস থেকে বের হওয়ার পর পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয় ছাত্রদল নেতা সৌরভকে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, গুলশান পার্টি অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে গুলশান লেকের পাশে দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায়। একাধিক ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে সৌরভ ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এ ঘটনায় বাউফল পৌর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির একে ‘পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যা” বলে দাবি করেছেন। তিনি অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
নিহতের ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদেরকে পুলিশ কল দিয়ে জানায় আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। তবে আমার ভাই আমাদেরকে বলেনি কেন সে ঢাকায় এসেছিল। আমরা এখন হাসপাতালে আছি।’
নিহতের ভগ্নিপতি মোঃ মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘আমরা থানায় আছি। ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হবে।” তবে কারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, সে বিষয়ে তিনি কোনো তথ্য দিতে পারেননি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘গুলশান লেকের পাড়ে একজনের মরদেহ ছিল খবর পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তিনি একজন গাড়ির চালক ছিলেন। হত্যার পেছনে প্রেমজনিত একটি বিষয় রয়েছে বলে ধারণা করছি। সেই সূত্রেই হয়তো তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এদিকে একই দিনে সকালে মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক সাব্বির আহমেদের লাশ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে বলে নিশ্চিত করেন মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজি রফিক।
তিনি বলেন, ‘সকাল ৯টার দিকে কয়েকজন যুবক একটি লাশ নিয়ে আসে। লাশটি হ্যাংগিং অবস্থায় ছিল বলে জানা গেছে।  শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে হাত বাঁধা ছিল। গলায়ও দাগ রয়েছে। যেই বাসায় ঘটনা ঘটেছে আমরা সেই বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের জন্য পুলিশ পাঠিয়েছি। এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটি এখনো বুঝতে পারছি না। ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি জানা যাবে। তিনি আরও জানান, ‘বিষয়টি নিয়ে এখনো মামলা হয়নি। আমরা তদন্ত করে ঘটনার প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা করছি।’
মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরাম আহমেদ বলেন, ‘সাব্বিরের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লাশ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে আমরা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আছি।’
ছাত্রদল নেতার মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী রফিক আহমেদ। 
রাজধানীতে একই দিনে দুই ছাত্রদল নেতার মৃত্যুতে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে নেমে এসেছে শোক ও উদ্বেগ। উভয় ঘটনার কারণ উদঘাটনে পৃথকভাবে তদন্ত চলছে বলে সংশ্লিষ্ট থানাগুলো জানিয়েছে।

্রিন্ট

আরও সংবদ