খুলনা | শুক্রবার | ১৪ নভেম্বর ২০২৫ | ২৯ কার্তিক ১৪৩২

তেরখাদার বিভিন্ন এলাকায় বোমা সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার, রাতে দফায় দফায় বিস্ফোরণ

তেরখাদা প্রতিনিধি |
০২:০০ এ.এম | ১৪ নভেম্বর ২০২৫


তেরখাদা উপজেলায় চারটি বোমা সদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই দিনে উপজেলার মধুপুর এলাকায় ইউপি সদস্যের বাড়ির সামনে তিন দফা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার সকালে তেরখাদা সদর ইউনিয়নের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকার আব্দুর রউফ ফকিরের বাড়ির সামনে তিনটি লাল রঙের কৌটা দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দা ওয়ালিদ। প্রতিদিনের মতো কোচিং করানোর উদ্দেশ্যে সকাল সোয়া ছয়টার দিকে তিনি ওই এলাকায় গেলে ঘরের সানসেটের ওপর পলিথিনে মোড়ানো কৌটাগুলো নজরে আসে। কৌটাগুলো বোমা সদৃশ মনে হলে তিনি পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে তেরখাদা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ককটেল সদৃশ বস্তুগুলো উদ্ধার করে।
এর কিছুক্ষণ পর বাইপাস সড়কের পাশে কচুগাছের নিচে আরও একটি লাল কৌটা দেখতে পান এক পথচারী নারী। বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সেটিও উদ্ধার করে। সকালে একই এলাকায় ‘ঢাকা লকডাউন’ শিরোনামে কিছু লিফলেট টানানো অবস্থায় দেখা যায়, যা স্থানীয়দের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করে।
এদিকে বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে মধুপুর ইউনিয়নের পারহাজিগ্রাম কাটাশিয়া বাজার এলাকায় ইউপি সদস্য বেল্লাল মোল্লার বাড়ির প্রবেশপথে তিন দফা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। প্রথম বিস্ফোরণের পর আশপাশের লোকজন বাইরে বেরিয়ে এলে কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে দৌড়ে পালাতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পর পরপর আরও দু’টি বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে, এতে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে এবং আজগড়া ইউনিয়নের সেখপুরা এলাকায় তেরখাদা-খুলনা মেইন সড়কের উপর রাত দুইটার দিকে দুর্বৃত্তরা ককটেল বিস্ফোরণ ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে।
তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দুষ্কৃতিকারীরা রাতের অন্ধকারে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়েছে। পরিত্যক্ত অবস্থায় মোট চারটি ককটেল সদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা বস্তুগুলো পানিতে ভিজিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। ঘটনার উৎস ও উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। পরবর্তীতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে ঘটনার পর দুপুরে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ তেরখাদা সদর কাটেঙ্গা বাজার, বিকেলে শেখপুরা বাজারে প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এসময় উপজেলা বিএনপি’র সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক চৌধুরী কওছার আলী বলেন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে বোমা হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা করে। তারা জনগণের সাধারণ জীবন যাপনে বাধা সৃষ্টি করে দেশ ও জাতির শত্র“তে পরিণত হয়েছে। সারাদেশের ন্যায় উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন আওয়ামী লীগের সকল প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে সর্বদা রাজপথে প্রস্তুত আছে। পরে তাৎক্ষণিকভাবে বিএনপি’র নেতা আজিজুল বারী হেলালের ধানের শীষের পোস্টারের ওপর ‘ঢাকা লকডাউন’ বিষয়ক পোস্টার লাগানোর প্রতিবাদে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সমাবেশে উপজেলা বিএনপি’র বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ