খুলনা | সোমবার | ১৭ নভেম্বর ২০২৫ | ২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

কালিয়া থানার ওসি তদন্তের বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতন মামলা

নড়াইল প্রতিনিধি |
১২:২৮ এ.এম | ১৭ নভেম্বর ২০২৫


নড়াইলে কালিয়া  থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ হাসানুল কবিরের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা দায়ের হয়েছে। হাসানুল কবিরের স্ত্রী মোছাঃ কানিজ সিদ্দিকা বৃষ্টি নারী ও শিশু দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ২০২৫ এর ১১গ ৩০ ধারায় মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলা নং এমপি ১০১ /২৫ (কালিয়া)। রোববার মামলাটি গ্রহণ করেন আমলি আদালত কালিয়ার বিচারক মারুফ হাসান। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিকেশন পিবিআইকে। 
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় গত ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে কালিয়া পৌরসভার রেস্ট হাউসের তৃতীয় তলায় একটি গেস্টরুমে বাদী নির্যাতনের শিকার হন। অভিযোগে বাদী জানান  ২০০৮ সালের ৬ এপ্রিল ২ লক্ষ টাকা দেনমোহরে তাদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় আসামির চাহিদা অনুযায়ী তার পিতা ৫ বিঘা জমি বিক্রি করে নগদ অর্থ ও বিভিন্ন উপঢৌকন প্রদান করেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে। অভিযুক্ত র‌্যাবে কর্মরত থাকা অবস্থায় এক নারীর (জেসমিন ইসলাম জেমি)  সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন। এছাড়া বিগত ছয় মাস ধরে প্রাইভেট কার কেনার অজুহাতে ২৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছেন। বাদী টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানালে নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।  কালিয়া থানায় বদলি হওয়ার পর সন্তানদের নিয়ে স্বামীর সঙ্গে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করলে আসামি বাদীকে জানান, গাড়ি কিনার ২৫ লক্ষ টাকা না দিলে সংসার করা সম্ভব নয়। এ পরিস্থিতিতে বাদী আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। মামলার সাক্ষী হিসাবে বাদীর পিতা মোঃ সিদ্দিকুর রহমান মন্ডল, কন্যা ফারহাত তাবাচ্ছুম হিয়া, কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে¬ক্স এর এক মেডিকেল অফিসারসহ বেশ কয়েকজনের নাম উলে­খ রয়েছে। এ বিষয়ে কালিয়া থানার ওসি তদন্ত মোঃ হাসানুল কবিরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত মামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন বাদী আমার নিকট থেকে কৌশলে প্রায় এক কোটি টাকার সম্পত্তি বিভিন্ন সময়ে লিখে নিয়েছে। এখন নানা রকম তালবাহানা করছে। পরকীয়াসহ অন্যান্য ব্যাপারে যে অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। তদন্ত আসলে আমি যথাযথ জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছি।  

্রিন্ট

আরও সংবদ