খুলনা | মঙ্গলবার | ১৮ নভেম্বর ২০২৫ | ৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনায় মনা

তিনি ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম তৃণমূল রাজনীতিবিদ ও গণআন্দোলনের নায়ক

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০১:৩৩ এ.এম | ১৮ নভেম্বর ২০২৫


খুলনা মহানগর বিএনপি’র সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, মওলানা ভাসানীর জীবন আমাদের শেখায়-সাধারণ জীবন, উচ্চ চিন্তা। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী আফ্রো-এশিয়া-লাতিন আমেরিকার মানুষের কাছে ‘মজলুম জননেতা’ হিসেবে পরিচিত। তিনি ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম তৃণমূল রাজনীতিবিদ ও গণআন্দোলনের নায়ক। বেশ কিছু সাধারণ ও স্থানীয় নির্বাচনে জয়ীও হয়েছিলেন, তবে কখনো ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করেননি। তার নেতৃত্বের ভিত্তি ছিল কৃষক শ্রমিক জনসাধারণ, যাদের অধিকার এবং স্বার্থরক্ষার জন্য তিনি নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম করে গেছেন। ১৯৪৭-এ সৃষ্ট পাকিস্তান ও ১৯৭১-এ প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেছেন তিনি।  মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া পল্লীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হাজি শারাফত আলী। ছেলে-মেয়ে বেশ ছোট থাকা অবস্থায় হাজি শারাফত আলী মারা যান।
গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা মহানগর বিএনপি’র উদ্যোগে বিএনপি কার্যালয়ে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এড. মনা বলেন, তার ডাক নাম ছিল চেগা মিয়া। পিতৃহীন হামিদ প্রথমে কিছুদিন চাচা ইব্রাহিমের আশ্রয়ে থাকেন। ওই সময় ইরাকের এক আলেম ও ধর্ম প্রচারক নাসির উদ্দিন বোগদাদী সিরাজগঞ্জে আসেন। হামিদ তার আশ্রয়ে কিছুদিন কাটান। মওলানা ভাসানী কর্মজীবন শুরু করেন,  টাঙ্গাইলের কাগমারিতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে। পরে তিনি ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট এলাকার কালা গ্রামে একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। অসহায় মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় মওলানা ভাসানী সবসময় আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন। মওলানা ভাসানীর অগাধ দেশপ্রেম, দেশ ও জাতির স্বার্থ রক্ষা এবং গণতন্ত্র ও মানবতার শত্র“দের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে যুগ যুগ ধরে আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করবে। তার আদর্শকে সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারলেই আমরা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হবো।
মনা আরও বলেন, অধিকার আদায়ে তিনি এদেশের মানুষকে সাহস যুগিয়েছেন তার নির্ভীক ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের দ্বারা। তাঁর হুংকারে অত্যাচারী শাসক ও শোষক গোষ্ঠীর মসনদে কম্পন সৃষ্টি হতো। জাতির ভয়াবহ দুর্দিনগুলোতে তিনি জনস্বার্থের পক্ষে থাকতেন বলেই জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছিলেন। 
আলোচনা সভায় মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন বলেন, মওলানা ভাসানী আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম। সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ ও আধিপত্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের প্রবাদ পুরুষ মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে উপ-মহাদেশের নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের পক্ষে আপোসহীন ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি জনতার ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ছিলেন এক আলোকবর্তিকা। তার অবস্থান ছিলো শোষণের বিরুদ্ধে এবং শোষিতের পক্ষে। আলোচনা সভা শেষে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তৃতা করেন নগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী, মাসুদ পারভেজ বাবু, হাসানুর রশীদ চৌধুরী মিরাজ, থানা সভাপতি কেএম হুমায়ূন কবির, সেখ হাফিজুর রহমান মনি, মুর্শিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, বদরুল আনাম খান, সাবেক নেতা জামাল উদ্দিন তালুকদার, থানা সাধারন সম্পাদক শেখ ইমাম হোসেন, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, আসাদুজ্জামান আসাদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর হোসেন, ডাঃ রফিকুল হক বাবলু, যুবদলের শেখ আব্দুল আজিজ সুমন, মহিলা দলের সৈয়দা নার্গিস আলী, যুগ্ম-আহবায়ক এড. হালিমা আক্তার খানম, জাসাসের সদস্য সচিব (ভারপ্রাপ্ত) কে এম এ জলিল স্বেচ্ছাসেবক দলের ময়েজ উদ্দিন চুন্নু, মুন্তাসির আল মামুন, মোঃ গোলাম কিবরিয়া, তাঁতী দলের আবু সাঈদ শেখ, শ্রমিক দলের মোঃ মজিবর রহমান, থানা সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির ইকবাল বাপ্পী, মোঃ নাসির উদ্দিন। ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন সভাপতি মাসুদউল হক হারুন, গাজী আফসার উদ্দিন, এস এম নুরুল আলম দিপু, শেখ মোস্তফা কামাল, শেখ মনিরুজ্জামান মনির, আজিজুর রহমান, শেখ হাবিবুর রহমান, কাজী নজরুল ইসলাম, মোঃ সাইফুল আলম, এড. কাজী সামীম, সৈয়দ হাসান উল্লাহ, মোঃ জাহাঙ্গীর শেখ, মোঃ জাহিদুল হোসেন, ইকবাল হোসেন মিজান, শেখ আলমগীর হোসেন, শেখ আব্দুস সালাম, মোঃ নুরুল ইসলাম, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, মোঃ বায়েজিদ, মঞ্জুরুল আলম, জুয়েল খান, মোঃ নাজমুস সাকিব, মোঃ সওগাতুল আলম ছগীর, মোঃ আমিন আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, মোঃ ওহিদুজ্জামান হাওলাদার, কাজী মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ আবুল ওয়ারা, মোঃ কামরুজ্জামান রুনু, মোঃ আরিফুল ইসলাম বিপ্লব, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মীর শওকত হোসেন হিট্টু, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন খোকা, মোঃ এমদাদুল হক, খোকন মৃধা, মিজানুর রহমান মিজান,হারুন অর রশিদ, মোঃ রফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির, শেখ মোঃ মফিজুর রহমান, শেখ সরোয়ার, জামির হোসেন দিপু, মোঃ মুরাদ হোসেন, মোঃ  মোঃ সোহরাব মোল্লা, মোঃ ইয়াছিন মোল্লা, আব্দুল কাদের মল্লিক, শেখ মনিরুল ইসলাম, মোঃ বক্কর মীর, মোঃ আলী আফজাল, ডাঃ শাহিন আহসান, নাসরিন শ্রাবণী, হাসনা হেনা, নিঘাত সীমা, এড. জাহানারা পারভীন, এড. আনোয়ার পারভীন, রোকেয়া ফারুক, লুৎফুন নাহার লাভলী, হোসনে আরা চাঁদনী, বিউটি আক্তার ও ওয়াহিদা পারভীন রোমানা, সুলতানা পারভীন রজনী, এড. কামরুন নাহার হেনা, পাপিয়া রহমান পারুল, শিরিনা আক্তার, ইরিনা আক্তার, কাকলি খান ও ছাত্রদলের সৈয়দ ইমরান প্রমুখ।

্রিন্ট

আরও সংবদ