খুলনা | শুক্রবার | ২১ নভেম্বর ২০২৫ | ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

খুলনা-২ আসনের উন্নয়নে সংহতি আন্দোলনের প্রার্থী সোহেলের রূপরেখা

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০২:১৩ এ.এম | ২১ নভেম্বর ২০২৫


খুলনা-২ আসনের উন্নয়নে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য, খুলনা জেলা আহবায়ক ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মুনীর চৌধুরী সোহেল জনগণের কাছে রূপরেখা  উপস্থাপন করেন। এই উন্নয়নের রূপরেখাকে তিনি “লোকাল ডেভেলপমেন্ট প্লান” হিসেবে অবহিত  করেছেন। খুলনা-২ আসনে তার উন্নয়নের রূপরেখায় ৫টি ধারাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। এই ৫টি প্রজেক্টের মধ্যে ময়ূর নদ পুনরুদ্ধার, সোনাডাঙ্গা স্মার্ট ট্রান্সপোর্ট/বাস টার্মিনাল আধুনিকায়ন, খুলনা সদর হাসপাতাল উন্নয়নে মাস্টারপ্লান, খুলনা স্টার্টআপ হাব এবং স্কিল সিটি এবং জলাবদ্ধতামুক্ত খাল-ড্রেন সিস্টেম পুনর্গঠন। 
গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা সদস্য সচিব আসিফ ইকবাল চৌধুরী সংবাদপত্রে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জনগণের কাছে মুনীর চৌধুরী সোহেলের নির্বাচনী রূপরেখা উপস্থান করেছেন। 
খুলনা ২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী সোহেল নিম্নোক্ত ভাবে তুলে ধরেছেন-১. নগর কেন্দ্রিক খুলনা-২ আসনে, অবকাঠামো ও যোগাযোগ এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে আমাদের প্রথম পদক্ষেপ হবে সোনাডাঙ্গা, নিউমার্কেট, শিববাড়ি এবং  লেবুতলায় খাল পুনঃখনন করা, একই সাথে ড্রেনেজ লাইন রি-ম্যাপিং, স্মার্ট ড্রেন সেন্সর স্থাপন করা এবং বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য “রেইন ওয়াটার রিজার্ভ ট্যাঙ্ক” প্রকল্প চালু করা। ২. সড়ক উন্নয়নে, শিববাড়ী-রূপসা-ময়ূরী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সংযোগ সড়ক উন্নয়ন করা হবে, সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালের আধুনিকায়নে গুরুত্ব দেয়া হবে। এছাড়া ফুটপাত, জেব্রা ক্রসিং ও সাইকেল লেন তৈরিকে প্রাধান্য দেয়া হবে। স্মার্ট ট্রাফিক ব্যবস্থার জন্য ইন্টেলিজেন্ট ট্রাফিক সিস্টেমকে প্রাধান্য দেয়া হবে, মূল সড়কে সিসিটিভি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে । উন্নত সড়ক ব্যবস্থাপনার জন্য নগর  কেন্দ্রীক একটি ফ্রি ট্রাফিক অ্যাপ চালু করা হবে, যার ফলে জনগণ জ্যামের কারণে আটকে থাকার সময় ও বিকল্প রুট নির্দেশনা পাবে। ৩. নদী, পরিবেশ, জলবায়ু নিরাপত্তায় আমাদের প্রধান পদক্ষেপ হবে ময়ূর নদ পুনরুদ্ধার অর্থাৎ দখল উচ্ছেদ, নদীর দুই পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ ইত্যাদি। এছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে ওয়ার্ডভিত্তিক বর্জ্য আলাদা সংগ্রহ এবং কম্পোস্ট প্লান্ট ও রিসাইক্লিং কেন্দ্র তৈরি করা হবে, গ্রিণ জোন হিসেবে  আমরা তৈরি করাবো শিববাড়ি-খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় করিডোর কে, যেখানে সবুজায়ন সুনিশ্চিত করা হবে। ৪. নগর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে, পুলিশ কমিউনিটি যৌথ উদ্যোগ “সেফ ওয়ার্ড” নির্মাণ করা হবে, এছাড়া হটস্পট এলাকায় স্মার্ট লাইটিং ও নারীদের নিরাপত্তার জন্য “নিরাপদ দিন-রাত” উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। ৫. শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়নের প্রাথমিক ধাপে আমরা সকল স্কুলগুলোতে উন্নত ল্যাব, লাইব্রেরির আধুনিকীকরণ এবং  সরকারের সহযোগিতায় সোনাডাঙ্গা ও সদর এলাকায় টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট বাড়ানো হবে, যা’ বেকারত্ব দূর করতে সহযোগিতা করবে, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য আইটি স্কিল সেন্টার বানানো হবে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজগুলোর মানোন্নয়ন ও মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম চালু করা হবে। ৬. স্বাস্থ্যসেবা আধুনিকীকরণে  প্রথমত খুলনা সদর হাসপাতালে নতুন ওয়ার্ড, আইসিইউ/সিসিইউ বৃদ্ধি, ডিজিটাল রোগী ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। বিশেষ করে, সোনাডাঙ্গা ২৪ ঘণ্টার মিনি ইমার্জেন্সি সেন্টার চালু করা হবে। সমাজের নিম্নআয়ের মানুষের জন্য মোবাইল মেডিকেল ভ্যান চালু রাখা হবে। ৭. তরুণ প্রজন্মের জন্য, যুব কর্মসংস্থান ও খুলনা স্টার্টআপ হাব করা হবে আইটি, ফ্রিল্যান্সিং, ওয়েব ডেভ, অ্যানিমেশন প্রোগ্রামিং এর জন্য ওয়ার্ডভিত্তিক স্কিল ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিং সেন্টার করা হবে। প্রয়োজনে তরুনদের জন্য ‘স্বল্প সুদে উদ্যোক্তা ঋণ’ প্রদান করা হবে। ডিজিটাল মার্কেটপেলসে  ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। ৮. নারীর ক্ষমতায়ন আমাদের অন্যতম দায়িত্ব, এই লক্ষ্যে সেলাই, বুটিক, ফুড প্রোডাকশনসহ নারীদের জন্য “নারী কর্মসংস্থান কেন্দ্র” বানানো হবে। একই সাথে মাতৃত্ব ও স্বাস্থ্যসেবায় উন্নত সুবিধা প্রদান করা হবে এবং সোনাডাঙ্গা-সদর এলাকায় নারী সহায়ক নিরাপদ পরিবহন ব্যবস্থা চালু করা হবে। ৯. বস্তি উন্নয়ন ও সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষের সুরক্ষার জন্য, সোনাডাঙা বস্তি এলাকায় স্যানিটেশন-পানি-বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা হবে। একই সাথে দুর্যোগ সহনশীল ঘর নির্মাণে সহযোগিতা করা হবে, ঝুঁকিপূর্ণ বসতিতে আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা করা হবে। শিশু শিক্ষা কেন্দ্র ও স্বাস্থ্য সেবা বুথ চালু করা হবে। ১০.সরকারের সহযোগিতায় পাটশিল্প রক্ষায় শিল্প নগরী খুলনায় রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা চালু করার ব্যবস্থা করা হবে। একই সাথে ব্যবসা, বাণিজ্য ও অর্থনীতি, নিউমার্কেট ও ডাকবাংলা মার্কেটের আধুনিকায়ন করা হবে। সোনাডাঙ্গা এলাকায় বিশেষ  ট্রেডিং জোন গড়ে তোলা হবে। এছাড়া হোটেল ফুড পর্যটন খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য আমরা লাইসেন্স, ট্যাক্স এবং বাজেট প্রক্রিয়ায় সরলীকরণ করবো। ১১. সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও বিনোদন ক্ষেত্রের উন্নয়নে শহরে নতুন মুক্তমঞ্চ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। মহেশ্বরপাশা গল্লামারিতে ক্রীড়া গ্রাউন্ড উন্নয়ন করা হবে। কিশোর-যুবকদের জন্য স্পোর্টস একাডেমির উন্নয়ন এবং স্কুল কলেজে সাংস্কৃতিক ক্লাব কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ