খুলনা | শনিবার | ২২ নভেম্বর ২০২৫ | ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

ভূমিকম্পে বন্ধ হয়ে যাওয়া ৭ বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু

খবর প্রতিবেদন |
০১:১৭ এ.এম | ২২ নভেম্বর ২০২৫


দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পে শুক্রবার সকালে সাতটি বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এতে বেশ কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকলেও ধীরে ধীরে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালু হতে থাকে। সন্ধ্যার মধ্যে সবগুলো বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। তবে কিছু এলাকায় সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) এক কর্মকর্তা বলেন, ভূমিকম্পে কয়েকটি কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েকটি কেন্দ্রে সাময়িক বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হলেও সন্ধ্যা নাগাদ সরবরাহ শুরু করেছে।

এর আগে শুক্রবার সকালে সবার আগে তীব্র ভূকম্পন অনুভূত হওয়ার দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদন ও বিতরণ বন্ধ হওয়ার কথা জানায় পিডিবি। সংস্থাটির পরিচালক (জনসংযোগ) শামীম হাসান এর পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়, শক্তিশালী ভূমিকম্পজনিত কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় সাময়িক বিঘ্ন ঘটেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

পিডিবি জানায়, বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে বিবিয়ানা-২ (সামিট) ৩৪১ মেগাওয়াট, আশুগঞ্জ প্রিসন এনার্জির ৫৫ মেগাওয়াট, এবং আশুগঞ্জ টিএসকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র ভূমিকম্পের সময় সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। চট্টগ্রামের এসএস পাওয়ারের ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি ইউনিট চালু ছিল, সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া বাকীগুলো হলো পিডিবির ৪০০মেগওয়াট বিবিয়ানা-৩ ১৩৪ মেগাওয়াটের একটি, আশুগঞ্জ ২২৫ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্টের ৭৫ মেগাওয়াটের একটি, এবং সিরাজগঞ্জ ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ৭৫ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট বন্ধ হয়।

সে সময় আরও কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করা হলেও পরে আর তা হয়নি। এদিকে শুক্রবার হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকায় লোডশেডিং হওয়ার তেমন কোনো শঙ্কাও ছিল না।

অন্যদিকে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি (পিজিসিবি) জানিয়েছে, অনেক এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন আছে। তারা দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে বলে জানায়।

এছাড়া ভূমিকম্পের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঘোড়াশাল উপকেন্দ্র। জানা যায়, সকালে ভূমিকম্প শুরু হলে ঘোড়াশাল এআইএস গ্রিড সাবস্টেশনে আগুন লেগে যায়। এতে ইনসুলেটর, আইসোলেটর ও ব্রেকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে উপকেন্দ্রের ২৩০ কিলোভোল্ট, ১৩২ কিলোভোল্ট এবং ৩৩ কিলোভোল্টের সব গ্রিডলাইনে সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিকল্প উপায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়।

্রিন্ট

আরও সংবদ