খুলনা | মঙ্গলবার | ২৫ নভেম্বর ২০২৫ | ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: হাসিনা-রেহানা-টিউলিপের মামলার রায় ১ ডিসেম্বর

খবর প্রতিবেদন |
০২:০৭ পি.এম | ২৫ নভেম্বর ২০২৫


রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা ও ভাগ্নি টিউলিপসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণা হবে আগামী ১ ডিসেম্বর।

মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম এ তারিখ ঘোষণা করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মঈনুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদকের আইনজীবীরা বলেন, দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিনের করা মামলাটিতে প্রধান আসামি শেখ রেহানা। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকসহ মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়।

মামলার সাক্ষীরা জানান, প্রধানমন্ত্রীত্বের ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে জালিয়াতির মাধ্যমে প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এতে মূল আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানান দুদকের আইনজীবীরা।

পূর্বাচলে শেখ হাসিনা পরিবারের প্লট নেয়ার সময় নিজের পরিবারের জন্যও হাসিনার কাছে প্লটের আবদার করেন শেখ রেহানা। পরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজউককে প্লট বরাদ্দের আদেশ দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মিথ্যা হলফনামা দিয়ে ১০ কাঠা সরকারি জমির মালিক হন রেহানা। এসব অভিযোগে ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করে দুদক।

৩২ জনের সাক্ষ্যপ্রদানের পাশাপাশি অবৈধ নির্দেশনামা ও ভুয়া হলফনামাসহ আসামিদের বিরুদ্ধে সকল প্রমাণাদি উপস্থাপন করেন দুদকের আইনজীবীরা। মঙ্গলবার উভয়পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে আগামী ১ ডিসেম্বর রায়ের তারিখ ধার্য করেন ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালত।

সাক্ষীদের জবানবন্দিতে উঠে আসে, মায়ের নামে প্লট বরাদ্দের জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর উপর চাপ প্রয়োগ করেন ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। ফলে নিজে প্লট বরাদ্দ না নিলেও মামলার একজন মূল আসামি তিনি। রায়ে হাসিনা-রেহানার পাশাপাশি টিউলিপেরও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানান দুদকের আইনজীবীরা।

মামলায় একমাত্র গ্রেফতার আসামি রাজউকের সাবেক কর্মকর্তা খুরশিদ আলমের আইনজীবী যুক্তিতর্কে বলেন, সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ঊর্ধ্বতনের আদেশ পালনে বাধ্য ছিলেন তিনি।

মামলাটির অন্যান্য আসামিরা হলেন- জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব অলিউল্লাহ, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজউক-এর সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), সাবেক পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপ-পরিচালক নায়েব আলী শরীফ, তদন্তে পরবর্তীতে যুক্ত হওয়া দুই আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

্রিন্ট

আরও সংবদ