খুলনা | বুধবার | ২৬ নভেম্বর ২০২৫ | ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

অর্থ আত্মসাতের জবাবে তানজিন তিশার বিবৃতি

খবর বিনোদন |
০৪:৫৭ পি.এম | ২৫ নভেম্বর ২০২৫


সম্প্রতি সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন তানজিন তিশা। ইতিমধ্যে শুরু করেছেন নিজের প্রথম সিনেমার শুটিং। এর মধ্যেই একের পর এক অভিযোগে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন এই অভিনেত্রী। দুটি ফ্যাশন হাউসের প্রতারণার অভিযোগের পর এবার তিশার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন ভারতীয় এক প্রযোজক। ‘ভালোবাসার মরশুম’ নামের ওই সিনেমার প্রযোজক শরীফ খানের দাবি, তাঁর প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিশা। এ পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তানজিন তিশা আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।

ফেসবুকে তানজিন তিশা লেখেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় পরিচালক এম এন রাজের সঙ্গে আমার “ভালোবাসার মরশুম” সিনেমাটি করার কথা ছিল। এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ভুল তথ্য ছড়িয়েছে। বিষয়টি আমার নজরে এসেছে, যা আদতে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রটানো। আমি যখন সিনেমাটি সাইন করি, আমার আইনজীবীর মাধ্যমে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করি। সেখানে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ ছিল, আমার বিদেশ ভ্রমণসম্পর্কিত সব দায়িত্ব ডিরেক্টর এবং প্রডিউসারের। অর্থাৎ ভিসা করানো, ফ্লাইটের জন্য টিকিট এবং সেখানে থাকা-খাওয়ার সব দায়দায়িত্ব তাঁদের। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার, তাঁরা আমার ভিসা করিয়ে দিতে পারেননি। এমনকি আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করেছি; কিন্তু ভিসাপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হই।’

ভিসা-সংক্রান্ত জটিলতার জন্য নির্মাতাকে দায়ী করে তিশা লেখেন, ‘ভিসা-সংক্রান্ত জটিলতা যেহেতু চুক্তিপত্র অনুযায়ী ডিরেক্টরের দায়িত্ব, তাই এ বিষয়ের জন্য আইন অনুযায়ী কোনো দায় আমার হতে পারে না। এটি ডিরেক্টরের ব্যর্থতা। ওই সময় ২ মাস ভিসার জন্য অপেক্ষা করেছি এবং এর মধ্যে ভিসা হয়নি। ফলে এর মধ্যে তাঁরা অন্য একজনকে আমার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ চরিত্রটির জন্য ইনক্লুড করেন এবং তাঁকে দিয়ে অভিনয় করান। আমি পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হই, বর্তমানে যার শুটিং চলমান। সিনেমা আমার জন্য পেশাগত সম্মানের একটি জায়গা, যা আমি কখনোই নষ্ট করতে চাইনি, চাইব না। কিন্তু যেহেতু পরিচালক তাঁর ব্যর্থতার জন্য শিডিউল অনুযায়ী কাজ শুরু করতে পারেননি এবং নতুন একজনকে সেখানে চুক্তিবদ্ধ করে নিয়েছেন, তাই বাধ্য হয়েই আমাকে সেখান থেকে সরে আসতে হয়েছে।’

প্রযোজক শরিফ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিশা লেখেন, ‘লাইন প্রডিউসার শরিফ একবার আমাকে বলছেন, এক-তৃতীয়াংশ টাকা ফেরত দিতে, আবার আমার আইনজীবীকে বলছেন কিছু টাকা ফেরত দিলেই হবে, আবার সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে আমার ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন, যা একটি অপচেষ্টা মাত্র।’

তিশা আরও লেখেন, ‘আমার যে চুক্তিপত্র হয়েছে, সেখানে ডিরেক্টরের দোষে কোনো সমস্যা হলে আমাকে টাকা ফেরত দিতে হবে—এমন কোনো ক্লজ নেই। আমি সর্বদা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একজন মানুষ, আইন-আদালতে যদি তাঁরা প্রমাণ করতে পারেন, আমি টাকা ফেরত দিতে বাধ্য এবং আদালত যদি এমন নির্দেশনা প্রদান করেন, তাহলে আমি অবশ্যই তা মেনে নেব এবং টাকা ফেরত দেব।’

্রিন্ট

আরও সংবদ