খুলনা | বুধবার | ২৬ নভেম্বর ২০২৫ | ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

প্রতারণার মাধ্যমে ২৯ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

রূপসার এবি ব্যাংকের এজেন্ট ব্যবসায়ী রবিউলের বিরুদ্ধে একাধিক চেক জালিয়াতি মামলা

আল মাহমুদ প্রিন্স |
০২:৩৩ এ.এম | ২৬ নভেম্বর ২০২৫


প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এবি ব্যাংক রূপসার খোড়ার বটতলা শাখার এজেন্ট ব্যবসায়ী রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি মামলা দায়ের হয়েছে। ভুক্তভোগী খাদিজা খাতুন, ইমদাদুল ইসলাম, ইমরান শরিফ ও শিরিনা বেগম পৃথক এ অভিযোগ করেন। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে লক্ষ-লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তিনি রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী মহল গণমাধ্যমের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণসহ নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। তার বিরুদ্ধে প্রায় ২৯ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। 
প্রপ্ত তথ্য মতে, রূপসার নৈহাটী ইউনিয়নের নিকলাপুর গ্রামের খোড়ার বটতলায় এবি ব্যাংক শাখার এজেন্ট ব্যবসায়ী ও আল-ফালাহ সমবায় সমিতির স্বত্বাধিকারি রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রায় ২৯ লাখ টাকা আত্মসাতের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকায় বিভিন্ন জনের সাথে তার ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠায় কৌশলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। রূপসার জয়পুর গ্রামের মিনাবাড়ি রোডস্থ এলাকার সেলিম মোল্লার স্ত্রী খাদিজা খাতুনের কাছ থেকে জমি কেনার শর্তে চেকের মাধ্যমে দুই দফায় মোট নয় লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন রবিউল। পরবর্তীতে তিনি জমি ক্রয় না করে সমুদয় টাকার মধ্যে মাত্র দুই লক্ষ টাকা ফেরত দিলেও বাকি সাত লক্ষ টাকা অদ্যবধি তিনি পরিশোধ না করে বহাল তবিয়তে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। তার  কাছে টাকা চাইতে গেলে তিনি কর্ণপাত না করে নানা অজুহাত দেখিয়ে  বছরের পর তাকে ঘুরাচ্ছেন। 
অপর ভুক্তভোগী নিকলাপুর গ্রামের আলতাফ শেখের ছেলে শেখ ইমদাদুল ইসলামকে এক লাখ দশ হাজার ইট দিবেন এমন শর্তে প্যাড ও ব্যাংকের চেকের মাধ্যমে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে সাত লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন রবিউল। আরেক ভুক্তভোগী রূপসার বাগমারা গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমান শরীফের ছেলে ইমরান শরিফকে ইট দেওয়ার শর্তে ২০২০ সাল থেকে শুরু করে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে মোট ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন রবিউল। ভুক্তভোগী ইমরান শরীফ রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে খুলনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি চেক জালিয়াতি মামলা ও তিনটি চেক ডিজঅনার মামলা দায়ের করেন। 
অপর ভুক্তভোগী রূপসার জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আলী হোসেনের স্ত্রী শিরিনা বেগমকে ৯৩ হাজার ইট দেওয়ার শর্তে ২০২১ সালে ইসলামী ব্যাংক, খুলনা শাখার ছয় লক্ষ টাকার চেক  প্রদান করেন। এজেন্ট ব্যাংক ব্যবসায়ী টাকা গ্রহণের পর এ পর্যন্ত পাওনা টাকা পরিশোধ করেননি। রবিউলের বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ ও স্থানীয়ভাবে শালিসী বৈঠক করা হলেও বিষয়টি তিনি আমলে না নিয়ে ক্ষমতার দাপটে বহাল তবিয়তে ব্যাংকিং ও সমিতির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এবি ব্যাংক এজেন্ট ব্যবসায়ী মোঃ রবিউল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।  

্রিন্ট

আরও সংবদ