খুলনা | শনিবার | ২৯ নভেম্বর ২০২৫ | ১৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

আশাশুনিতে পারিবারিক জমি বন্টনে প্রতারণার অভিযোগে মানববন্ধন

আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি |
১১:৫৬ পি.এম | ২৮ নভেম্বর ২০২৫


সাতক্ষীরা সদরের ফিংড়ী ইউনিয়নের জোড়দিয়ায় পারিবারিক জমি বন্টনে প্রতারণার অভিযোগে বঞ্চিতরা মানবন্ধন করেছেন। শুক্রবার বুধহাটা করিম সুপার মার্কেট রাস্তায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 
জোড়দিয়া গ্রামের মরহুম শেখ আঃ মান্নানের পরিবারের সদস্য ও শুভাকাক্সক্ষীদের অংশগ্রহণে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন মরহুমের ছোট পুত্র শেখ হেদায়েতুল ইসলাম, তাদের ভাগ্নে জামাই শহিদুল ইসলাম, ভাগ্নি ফতেমা খাতুন, ভাগ্নে জামাই শেখ আঃ আহাদ, নাতে শেখ নয়ন, পুত্র শেখ মোফাকখারুল, ভাগ্নে শেখ আঃ হামিদ, ভাগ্নে জামাই নূরুল আমিন। তারা জানান ১৯৯৮ সালে শেখ আঃ মান্নান ইন্তেকাল করেন। তিনি ৩ পুত্র, ৬ কন্যা ও স্ত্রী রেখে যান। তার নামীয় জমি রেখে যান ১৩.৩০ একর। নামীয় জমির হিসেবে স্ত্রী ১.৬৬ একর, পুত্ররা ১.৯৪ একর ও মেয়েরা. ৯৭ একর করে জমির স্বত্তবান হন। কিন্তু মরহুমের বড়পুত্র শেখ মুহসিন ও আরেক পুত্র শেখ মোনায়েম ২৮ বছরেও তাদের কোন সম্পত্তি বুঝিয়ে দেননি। এনিয়ে তারা বারবার দেন দরবার করলেও তালবাহানা করে কেবল সময়ক্ষেপণ করা হয়েছে। কয়েকবার শালিসে বসলেও তঞ্চকতা করে শালিস মীমাংসা ছাড়াই শেষ করা হয়েছে। তাদের এ কাজে উদীচী নেতা শেখ সিদ্দিকুর রহমান, আকবার আলী, সাবেক ইউপি সদস্য মহাদেব ঘোষ সহযোগিতা করে এসেছেন। শালিসকারকরা আমাদের অজ্ঞাতে বাদীদের নিয়ে গত ৬ নভেম্বর গোপন বৈঠক করেন, এবং সবশেষ গত ২১ নভেম্বর একইভাবে আমাদের অজ্ঞাতে শালিসকারকরা সরকারি (আমতলাস্থ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস) ভবনে বসে আমাদের (১ ভাই ও ৬ বোন, মা) কাউকে না জানিয়ে ও না নিয়ে ইচ্ছেমত (জালিয়াতি) শালিস নামা সৃষ্টি করা হয়। শালিসনামায় লেখা হয় বাদী-বিবাদী পক্ষ সবাই উপস্থিত ছিল এবং আপোষ বন্টননামা লিখে তঞ্চকী জমির হিসাব তৈরি করা হয়। আমরা উক্ত জালিয়াতি কারবার শালিসনামা ও ভুয়া আপোষ বন্টননামা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি এবং জালিয়াতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। সাথে সাথে গত ২৮ বছর আমাদেরকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত রাখার খেসারত ও ন্যায় সঙ্গত পন্থায় ন্যায্য সম্পত্তির অংশ পেতে পারি তার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

্রিন্ট

আরও সংবদ