খুলনা | মঙ্গলবার | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

এশিয়ার চার দেশে বন্যা মৃত প্রায় ১০০০

খবর প্রতিবেদন |
০১:৫৩ এ.এম | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫


এশিয়ার চারটি দেশে সা¤প্রতিক সময়ে ভয়াবহ বন্যায় প্রায় ১০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়ার অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। বন্যা কবলিত এ দুই দেশ ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দিতে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
এতে বলা হয়, গত সপ্তাহে বৈরি আবহাওয়া তথা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গোটা শ্রীলঙ্কা এবং ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা, দক্ষিণ থাইল্যান্ড ও উত্তর মালয়েশিয়ার বিশাল অংশে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হয়। অতিমাত্রায় বৃষ্টিপাতের ফলে উল্লিখিত অঞ্চলগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। শ্রীলঙ্কায় ঘন কাদা পানির প্রবাহে রাজধানী কলম্বোসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চল একদম পানিতে ডুবে গেছে। পাশাপাশি বহু এলাকায় ভূমিধস হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ৩৪০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এটি ২০০৪ সালের সুনামির পর দেশটির সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমার দিসানায়েকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন এবং আন্তর্জাতিক সাহায্যের আহŸান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমরা আমাদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি। সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার ব্যবহার করে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করা হচ্ছে এবং খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। উদ্ধার তৎপরতার সময় রোববার সন্ধ্যায় কলম্বোর উত্তরে একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। আপতত বৃষ্টি বন্ধ হওয়ায় রাজধানীর পানি কমবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষার কারণে এই অঞ্চলে প্রায়ই বন্যা হয়। তবে জলবায়ু সংকটের কারণে ঝড়ের তীব্রতা বাড়ছে এবং উষ্ণ বায়ুমণ্ডলে বেশি আর্দ্রতা থাকায় ভারী বৃষ্টিপাতও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা এই পরিস্থিতিকে আরও মারাত্মক করে তুলেছে।
এদিকে ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা অন্তত ৪৪২ জনে পৌঁছেছে। এখনও কয়েকশ’ মানুষ নিখোঁজ। দেশটির ইতিহাসে এটি ২০১৮ সালের সুনামির পর সবচেয়ে মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো সুমাত্রায় গিয়ে বলেন, সবচেয়ে খারাপটা পেরিয়ে গেছে, আশা করি। তিনি বিচ্ছিন্ন গ্রামগুলোতে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় সাহায্য পাঠানোর ওপর জোর দেন। প্রেসিডেন্টের ওপর জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণার চাপ বাড়লেও তিনি এখনও আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য প্রকাশ্যে আহŸান জানাননি। সরকার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী বহনকারী তিনটি যুদ্ধজাহাজ এবং দু’টি হাসপাতাল জাহাজ পাঠিয়েছে।

্রিন্ট

আরও সংবদ