খুলনা | বুধবার | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

আয়ারল্যান্ডকে উড়িয়ে দাপুটে জয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক |
০৪:৫২ পি.এম | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫


পল স্টার্লিংয়ের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু পেয়েছিল আয়ারল্যান্ড। তবে মুস্তাফিজুর রহমান-রিশাদ হোসেনরা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে দেয়নি সফরকারীদের। তারা ‍দুজনই পেয়েছেন তিনটি করে উইকেট। বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামের শিকার দুইটি। মুস্তাফিজ-শরিফুল ও রিশাদের এমন বোলিংয়ে আয়ারল্যান্ডকে মাত্র ১১৭ রানে আটকে দেয় বাংলাদেশ। সিরিজ জিততে সহজ লক্ষ্য তাড়ায় তানজিদ হাসান তামিমের হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে সাইফ হাসান ও পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাটে ৮ উইকেটের জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। প্রথম ম্যাচে হারলেও শেষ দুই টি-টোয়েন্টিতে জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছেন লিটন দাসরা।

প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে তানজিদের সঙ্গে ওপেন করেছিলেন পারভেজ ইমন। তবে চট্টগ্রামে শেষ ম্যাচে তানজিদের সঙ্গে পাঠানো হয় সাইফকে। তাদের দুজনের ব্যাটে ভালো শুরুই পায় বাংলাদেশ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ক্রেইগ ইয়াংয়ের টানা দুই বলে চার-ছক্কা মেরেছিলেন সাইফ। ওভারের শেষ বলেও ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন। লং অফের উপর দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে ক্যাচ দিয়েছেন মার্ক অ্যাডায়ারের হাতে।

ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পায় সাইফ ১৪ বলে ১৯ রান করে ফিরলে ভাঙে তানজিদের সঙ্গে ৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটি। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি লিটন। অফ স্পিনার হ্যারি টেক্টরের গুড লেংথ ডেলিভারিতে ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন কার্টিস ক্যাম্ফারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৬ বলে ৭ রান করে। ওপেনিংয়ের পরিবর্তে চারে নামেন পারভেজ ইমন। বাঁহাতি ব্যাটার ভালো শুরুও পান।

পাশাপাশি দ্রুত রান তুলতে থাকেন ওপেনার তানজিদও। তাদের ব্যাটে এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ। একটু আরও আক্রমণাত্বক হয়ে উঠেন তানজিদ। গ্যারেথ ডেলানির করা ১১তম ওভারে দুই ছক্কা ও এক চার মেরে হাফ সেঞ্চুরির খুব কাছে চলে যান বাঁহাতি এই ওপেনার। ইয়াংকে ছক্বা মেরে ৩৫ বলে করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৫৫ রানে। এ ছাড়া পারভেজ ইমন ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এর আগে বল হাতেও দুর্দান্ত পারফর্ম করে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লা. লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯ ওভার ৫ বলে ১১৭ রানে অলআউট হয়ে গেছে আয়ারল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করে পল স্টার্লিং।

বোলিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। আয়ারল্যান্ডকে প্রথম ওভারে ১৩ রান দেন মেহেদী হাসান। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে শরিফুল ইসলামের শিকার হওয়ার আগে টিম টেক্টর (১৭) দুই চার ও এক ছয়ে ১৪ রান তোলেন।

পঞ্চম ওভারের শেষ বলে হ্যারি টেক্টর সিঙ্গেল নিলে আয়ারল্যান্ড পঞ্চাশে পৌঁছায়। ওই ওভারে ১২ রান তোলে সফরকারীরা। বল হাতে নিয়ে মুস্তাফিজুর রহমান দ্বিতীয় ডেলিভারিতে উইকেট পান।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে হ্যারি (৫) অদ্ভুত দৃশ্যের অবতারণা করে আউট হন। হ্যারি সামনের পায়ে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে ব্যাট চালান। বল ব্যাটে লেগে তা স্টাম্পের দিকে ছোটে। আইরিশ ব্যাটার বিপদ টের পেয়ে তাড়াতাড়ি পা দিয়ে বলটা সরাতে গিয়েও পারেননি। বল স্টাম্পে আঘাত করে। মুস্তাফিজ ওই ওভারে মাত্র এক রান দেন। তাতে পাওয়ার প্লে শেষে আয়ারল্যান্ড করেছে ২ উইকেটে ৫১ রান।

ভালো শুরুর পরও মিডল অর্ডার ব্যর্থতায় বড় সংগ্রহ পায়নি আয়ারল্যান্ড। পল স্টার্লিং এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকলেও আরেক প্রান্তে ছিল ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল।

লরকান টাকার-কুর্তিস ক্যাম্পাররা কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। শেষদিকে জজ ডকরেল ও গ্যারেথ ডেলানি কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তবে দুজনই থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ডেলানি করেছেন ১০ রান, আর ডকরেলের ব্যাট থেকে এসেছে ১৯ রান। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজ ও রিশাদ।  

্রিন্ট

আরও সংবদ