খুলনা | মঙ্গলবার | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

ভারতীয় রুপির মান সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে

খবর প্রতিবেদন |
০৫:০৬ পি.এম | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫


মার্কিন ডলারের বিপরীতে সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে ভারতীয় রুপির মান। সোমবার (১ ডিসেম্বর) ডলারের বিপরীতে রুপির দর দাঁড়িয়েছে ৮৯ দশমিক ৭৩-এ।

মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই রুপি তার আগের সর্বনিম্ন রেকর্ডে ৮৯ দশমিক ৪৯ দরে পৌঁছেছিল, এবার সেই রেকর্ডও ভেঙে গেল।

অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির শক্ত ভিত্তি শেয়ারবাজারকে রেকর্ড উচ্চতায় নিয়ে গেলেও চলতি বছর এশিয়ার সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে থাকা মুদ্রাগুলোর তালিকায় রয়েছে রুপি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়মিত হস্তক্ষেপ না থাকলে রুপির পতন আরও বড় হতে পারত।

রুপির এই দরপতন এমন এক সময়ে ঘটল, যখন ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশে, যা রয়টার্সের জরিপে উঠে আসা ৭ দশমিক ৩ শতাংশ পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক বেশি।

ব্যাংকাররা বলছেন, এই শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি রুপিকে খুব একটা স্বস্তি দিতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বাণিজ্য চুক্তিতে কোনো অগ্রগতি না থাকা, আমদানিকারকদের হেজিং (ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা) কার্যক্রম এবং ব্যালেন্স অফ পেমেন্ট বা লেনদেন ভারসাম্যের পরিস্থিতি কম সহায়ক হওয়ায় রুপির ওপর চাপ অব্যাহত রয়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, সোমবার নন-ডেলিভারেবল ফরোয়ার্ড মার্কেটে পজিশনের মেয়াদের কারণেও মুদ্রার ওপর চাপ ছিল। এ সময় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে মাঝেমধ্যে ডলার ছাড়তে দেখা গেছে।

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতীয় কর্মকর্তাদের মন্তব্যে আশা জেগেছিল যে ভারতীয় রপ্তানির ওপর আরোপিত চড়া ৫০ শতাংশ শুল্ক হয়তো শীঘ্রই কমানো হবে।

কিন্তু কোনো সুনির্দিষ্ট চুক্তি না হওয়ায় তা রুপির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এই শুল্কের কারণে বাণিজ্য এবং শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগের প্রবাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ফলে মুদ্রার স্থিতিশীলতার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভারতীয় শেয়ারবাজার থেকে ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি তুলে নিয়েছেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ