খুলনা | শুক্রবার | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

সুন্দরবনে অভিযানে শামুক-ঝিনুকসহ ৮ জেলে আটক, চারটি নৌকা জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা |
১২:৫৭ এ.এম | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫


পশ্চিম বনবিভাগে সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন সুন্দরবনের জলজ বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় শামুক-ঝিনুক নিধন বন্ধে এক অভিযান চালিয়ে বনবিভাগের সদস্যরা আটজনকে আটক করেছে। এ সময় চারটি নৌকাও জব্দ করা হয়। আটকদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করে বৃহস্পতিবার  আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া জব্দকৃত শামুক-ঝিনুকগুলো নদীতে অবমুক্ত করা হয়। এর আগে বুধবার রাতে শ্যামনগরের সুন্দরবন সংলগ্ন বিভিন্ন নদী-খালে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, খুলনার কয়রা থানার আব্দুল ওয়াদুদ গাজী (৪০), খলিল সানা (৫৯), শফিকুল গাজী (৪৫), আবু সাইদ গাজী (৫৫), গফফার গাজী (৫১), দেলবর গাজী (৫৭), গোলাম মোস্তফা (৩৫) ও মাসুম বিল্লাহ (৩৪)।বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কোবাদক স্টেশনের বিভিন্ন পয়েন্টে একযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সুন্দরবনের কোবাদক স্টেশনের আওতাধীন কঞ্চির খাল এলাকায় শামুক-ঝিনুক আহরণ করছিল এমন চারটি নৌকাসহ আটজনকে আটক করে বনরক্ষীরা। উদ্ধার করা হয় বিভিন্ন সরঞ্জাম। আটক ব্যক্তিদের কাছে মাছ এবং কাঁকড়া ধরার পাস ছিলো।
সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, অসাধু ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনের নদী-খাল থেকে বিপুল পরিমাণ শামুক-ঝিনুক আহরণ করে পাচার করে আসছিল। এভাবে নিধন চলতে থাকলে জলজ পরিবেশ চক্র ভেঙে পড়বে। তাই কঠোর নজরদারি ও ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে আটজনকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানোর হয়েছে।
তিনি আরও জানান, জব্দ করা নৌকাগুলো বন আইনের বিধান অনুযায়ী বনবিভাগের হেফাজতে রাখা হয়েছে এবং শামুক-ঝিনুক সুন্দরবন সংলগ্ন নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা), আইন ২০১২ অনুযায়ী তফসিল ২ এ বর্ণিত শামুক-ঝিনুক ধরা, পরিবহন ও ব্যবসা করা নিষিদ্ধ। স্থানীয় পরিবেশকর্মীরা জানান, নিয়মিত অভিযান না থাকলে এই ধ্বংসাত্মক আহরণ বন্ধ হবে না। তারা বনবিভাগের এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে আরো কঠোর মনিটরিংয়ের দাবি জানান।

্রিন্ট

আরও সংবদ